‘বিপর্যয়’ রক্ষায় মোদির বৈঠক 

দিল্লি, ১২ জুন– ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর ধাক্কায় তুমুল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে পশ্চিম উপকূলে। মুম্বই থেকে গুজরাতের বিভিন্ন শহরের বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল থেকে মুম্বই করাচির বিমান পরিষেবাও বন্ধ। একই ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর ধাক্কায় বেসামাল হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের বাণিজ্য শহর করাচি এবং সংলগ্ন এলাকা।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই দুর্যোগে ভারতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে গুজরাতে। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ঝেপে বৃষ্টি হচ্ছে। জনজীবন অনেকটাই স্তব্ধ। যদিও ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার কথা ১৫ জুন অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার। ওই দিন গুজরাটের কচ্ছ এবং পাকিস্তানের করাচির স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে, এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার দুপুরে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাজির থাকার কথা। এছাড়া বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং বাহিনীর কর্তারা থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা পরিষদের চেয়ারম্যান। বাহিনী কাজ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে।


গুজরাতের কচ্ছ, দেবভূমি দ্বারকা, পোরবন্দর, জামনগর, রাজকোট, জুনাগড় এবং মরবি সহ বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ রাজস্থানেও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ এলাকা জলে ডুবে ছিল প্রায় এক মাস। কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। জাতীয় ক্ষতির ধাক্কায় ভেঙে পড়ে দেশটির অর্থনীতি, যা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি সে দেশের সরকার। এবার ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ নিয়ে ঘুম ছুটেছে সে দেশের সরকার ও উপকূলবাসীর।