• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

করোনা আগাম থামাতে ‘মক ড্রিল’ হাসপাতালগুলিতে 

দিল্লি, ২৭ ডিসেম্বর– চিনের করোনার বাড়াবাড়ি ভারতে রুখে আগাম প্রস্তুতি শুরু হল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া আগেই বলেছিলেন, সমস্ত রাজ্যের হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলিকে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। করোনা ঠেকানোর সবরকম ব্যবস্থা যেন থাকে তা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্র। আজ মঙ্গলবার সেই ব্যবস্থাই হচ্ছে। করোনা ঠেকাতে রাজ্যে রাজ্যে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, স্বাস্থ্য পরিষেবা কেমন, সরকারি ও বেসরকারি

দিল্লি, ২৭ ডিসেম্বর– চিনের করোনার বাড়াবাড়ি ভারতে রুখে আগাম প্রস্তুতি শুরু হল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া আগেই বলেছিলেন, সমস্ত রাজ্যের হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলিকে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। করোনা ঠেকানোর সবরকম ব্যবস্থা যেন থাকে তা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্র। আজ মঙ্গলবার সেই ব্যবস্থাই হচ্ছে। করোনা ঠেকাতে রাজ্যে রাজ্যে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, স্বাস্থ্য পরিষেবা কেমন, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে নজরদারি চালানো হবে।

কেন্দ্রের উদ্যোগে মঙ্গলবার দেশজুড়েই চলবে নজরদারি, একে বলা হচ্ছে ‘মক ড্রিল’। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকও আছে তাঁর।

জেলায় জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবা কেমন, করোনা আক্রান্তদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা কেমন, কোভিড টেস্ট কেমন হচ্ছে। তাছাড়া দেখা হবে, হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ডের হাল কেমন, আইসোলেশন বেড কত আছে, অক্সিজেন বেড ও আইসিইউ বেড কটা রয়েছে। ভেন্টিলেটর বেডের সংখ্যা কত, সঙ্কটাপন্ন কোভিড রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর ও তরল অক্সিজেন কী পরিমাণে রয়েছে।

করোনা রোগীদের জন্য মেডিক্যাল অক্সিজেন ও চিকিৎসার পরিকাঠামো থাকতে হবে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যাতে মেডিক্যাল অক্সিজেন পাওয়া যায় সে মতো পর্যাপ্ত জোগান রাখতে হবে

ক্যুইড মেডিক্যাল অক্সিজেনের জোগান বাড়াতে হবে। অক্সিজেন ট্যাঙ্কারগুলো যাতে পূর্ণ থাকতে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে। কনসেন্ট্রেটরগুলি যাতে ঠিক সময় কাজ করে তা যাচাই করতে হবে। 

ভেন্টিলেটর, বাইপ্যাপ, এসপিও২ ইত্যাদি লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের ব্যবস্থা রাখতে হবে হাসপাতালগুলিতে। অক্সিজেন কন্ট্রোল রুম তৈরি করতে হবে যাতে চাহিদা বাড়লেই জোগান পাওয়া যায়।