মালদহের মিয়াজাকি আড়াই লক্ষ টাকায় এক কেজি! ,ভাগ্য ফেরাবে চাষিদের এই মিয়াজাকি 

মালদহ , ১৩ ফেব্রুয়ারি — এই নতুন গোলাপি আমের দাম শুনলে চোখ কপালে ওঠার দায়।১ কেজি আম মিলবে আড়াই লক্ষ টাকায়। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন গুনে গুনে আড়াই লক্ষ টাকা দিলে আপনার ঘরে আসবে এই গোলাপি আম।জাপান থেকে আনা হচ্ছে চারা। মালদহের বাগানে এবার চাষ হবে জাপানের এই আম। 

মালদহের এই আম কে মিয়াজাকি বলা হচ্ছে। জাপানের শহর মিয়াজাকিতে জন্মায় বলেই এই আমের এমন নাম। গড়ে এক-একটি আমের ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম। ‘মিয়াজাকি’ চাষ করে আমের জেলায় নতুন ইতিহাস গড়তে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকারের কৃষি দফতর। মালদহের মাটিতে এই আমের ফলন হতে পারে, কৃষিবিজ্ঞানীদের কাছে সে ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত মিলতেই জাপানি এই আম চাষের খুঁটিনাটি শেখাতে মালদহের ৫০ জন চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কৃষি দফতরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইংরেজবাজার ব্লকেই শুরু হবে এই আম চাষ। খুব শীঘ্রই জাপান থেকে আসছে চারা। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৫০ জন চাষির প্রত্যেককে একটি করে চারা দেওয়া হবে। সেই গাছ বৃদ্ধি পেলে সেখান থেকে কলম পদ্ধতিতে আরও চারা তৈরি করে জেলার চাষিদের মধ্যে বিলি করা হবে। এখন এই ৫০টি চারা আনার জন্য সমস্ত খরচ বহন করছে রাজ্য সরকার।

কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক ডঃ সেফাউর রহমান জানান,“প্রকল্পটি সফল হলে মালদহের আমচাষিরা রাজা হয়ে যাবেন। কারণ চড়া দামের আম বাংলার মানুষ না খেলেও বিশ্ববাজারে তা বিশাল দামে বিক্রি হবে।” তিনি জানান, ডাইনোসরের ডিমের মতো দেখতে এই আমে সুগারের পরিমাণ পনেরো শতাংশের মতো। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, বিটা-ক্যারোটিন এবং ফলিক অ্যাসিডে ভরা এই আম। চোখের জন্য ভালো, ক্যান্সারের ঝুঁকি ও কোলেস্টেরল দুইই কমায় এবং ত্বকের জন্যও উপকারী। এই আম চাষের জন্য দরকার দীর্ঘ সময়ের রোদ, উষ্ণ আবহাওয়া এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত। মালদহে এমনই আবহাওয়া। তাই ‘মিয়াজাকি’ চাষে সাফল্য মিলবেই বলে আশাবাদী মালদহের কৃষিবিদরা।