দিল্লি, ২১ এপ্রিল – ২০৫০ সাল, অর্থাৎ আগামী ২৭ বছরের মধ্যে দেশের অন্তত ৩০ লক্ষ মানুষের উপর তাপপ্রবাহের প্রভাব পড়বে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় এমন তত্ত্বই উঠে এসেছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে তাপপ্রবাহের কারণে ২১০০ সালের মধ্যে দেশের ৬০ লক্ষ মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও নিম্নগামী হবে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায় বলা হয়েছে , দেশের ৯০ শতাংশ মানুষই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ ভাবে তাপপ্রবাহের শিকার হবেন। তাপপ্রবাহের প্রত্যক্ষ প্রভাবের মধ্যে রয়েছে ভয়ঙ্কর মাত্রায় শস্যহানি, রয়েছে মৃত্যুর আশঙ্কাও। সাধারণভাবে কোনও এলাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে থাকলে এবং তা গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রার তুলনায় ৫ ডিগ্রি বেশি। আবহবিজ্ঞানের একেই বলা হয় তাপপ্রবাহ। এই শর্ত পূরণ না হলেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। গত কয়েক বছরে ভারতেআবহাওয়ায় পরিবর্তন এসেছে। ক্রমশই বেড়েছে গ্রীষ্মের দুপুরের তাপমাত্রা।
গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাবে তাপপ্রবাহের সতর্কতা পাওয়া দিনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত কয়েক বছরে স্বাস্থ্যের পক্ষেও হানিকর হয়েছে তাপপ্রবাহ। ওড়িশায় চলতি বছরেই তাপপ্রবাহের কারণে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মহারাষ্ট্র , রাজস্থানের সঙ্গে তাপপ্রবাহে টেক্কা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গও।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই রিপোর্টটি তৈরি করেছেন গবেষক রমিত দেবনাথ।কোন একটি অঞ্চলে তাপপ্রবাহ সেই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলছে , মূলত তা নিয়েই গবেষণা করে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান গবেষক রমিত দেবনাথ। সমীক্ষায় প্রকাশ, তাপপ্রবাহের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দিল্লি। তবে কমবেশি সমগ্র ভারতেই তাপমাত্রা বাড়ছে দ্রুতলয়ে। যার গতিবিধি নিয়ে গবেষণা চলছে। এই বিষয়ে গত বছরেই দ্য ওয়াসিংটন পোস্ট লেখে – ‘ভারতের মারাত্মক তাপপ্রবাহ শীঘ্রই সমগ্র বিশ্বের বাস্তবতা হবে’ ।