লোকসভা ভোটে একাই লড়বেন মায়াবতী 

বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ কিংবা বিজেপির এনডিএ – কোনদিকেই যাবেন না তিনি। আগামী লোকসভা ভোটে একাই লড়বেন বলে জানিয়ে দিলেন বহুজন সমাজ পার্টির সভানেত্রী মায়াবতী। কারণ দু’পক্ষই ‘দলিত বিরোধী’, এই যুক্তি দেখিয়ে বুধবার মায়াবতী  বলেন, ‘‘আগামী লোকসভা ভোটে আমরা একার জোরেই লড়ব। তবে স্থানীয় কিছু দলের সঙ্গে বিএসপির সমঝোতা হতে পারে।’’

বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত দুই দিনের বিরোধী বৈঠকে বিজেপিকে রুখতে নতুন বিরোধী জোট— ‘ইন্ডিয়া’ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স) গঠিত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর অভিযোগ, ওই জোট ‘দলিত বিরোধী’। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস বর্ণের বিচার করে এবং পুঁজিবাদী দল। তাঁদের  নেতারাও কেউ দলিতদের পক্ষে নন। কংগ্রেস যদি বিআর অম্বেডকরের আদর্শ অনুসরণ করত, তা হলে বিএসপিরই প্রয়োজন হত না। এনডিএ-ও দলিত বিরোধী।’’ এই পরিস্থিতিতে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলেঙ্গানার বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা নয় বলে জানিয়ে দেন তিনি।

গত ২৩ জুন পটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের ডাকে বিজেপি বিরোধী নেতাদের বৈঠকের আগে মায়াবতী টুইটারে লিখেছিলেন, ‘‘ওখানে শুধু হাত মেলানো হবে, হৃদয় মিলবে না।’’ তবে বিরোধী জোট নিয়ে মায়াবতীর মন্তব্য জাতীয় রাজনীতিতে তেমন প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 
অভিযোগ, মায়াবতী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পুরনো দুর্নীতির মামলা নিয়ে নতুন করে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। জয়ের আশা নেই জেনেও গত বছর উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের সব ক’টি আসনে প্রার্থী দিয়ে বিরোধী ভোট কাটার মতো সিদ্ধান্তও নেন মায়াবতী। রাজ্যের ৪২৫টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র একটিতে জেতে তাঁর দল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপি জোটের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকেও সমর্থন করেছিলেন মায়াবতী।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপির বিরোধী জোট সফল না হওয়ার পরে মায়াবতী একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে কার্যত বিজেপির ‘বি দল’ হিসেবে কাজ করছেন বলে মনে করছেন অন্যান্য বিরোধী নেতারা।