ভুবনেশ্বর, ৯ মার্চ – পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পাশে লক্ষ্মী মার্কেট কমপ্লেক্সে বুধবার রাতে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুনে গুরুতর জখম হয়েছেন ৩ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পর্যটকদেরও দ্রুত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কী কারণে এই ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুনের সূত্রপাত। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
তীর্থক্ষেত্র পুরী এবং জগন্নাথ মন্দির সবসময়েই জনবহুল। মন্দিরের কাছেই ভিড়ে ঠাসা বাজার এলাকা। সেখানে হঠাৎই আগুন লাগে বুধবার রাত ৮টা নাগাদ। প্রথম আগুন লাগে গ্র্যান্ড রোডের মারীচিকোট চকের লক্ষ্মী মার্কেট কমপ্লেক্সের একটি জামাকাপড়ের দোকানে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাজারের দোকানগুলিতে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৪০টি দোকান আগুনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দমকলসূত্রে খবর , যে সময় আগুন লাগে, সে সময় পুরীর মন্দিরের কাছের ওই বাজারে প্রচুর পর্যটক ছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন দমকল কর্মীরা। তবে শেষ পর্যন্ত ওই বাজার থেকে সমস্ত পর্যটককেই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। বাজারের পাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি হোটেল। সেগুলিও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। হোটেলগুলি থেকেও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রায় শতাধিক পর্যটককে।ওই বাজার চত্বরে বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডারও মজুত করা ছিল বলে জানা গেছে। সেই সব সিলিন্ডার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারত। প্রায় ১২ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনাস্থলে কাজ করছেন শতাধিক দমকল কর্মী এবং ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রয়েছে বেশ কিছু অগ্নি নির্বাপক ইঞ্জিন। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কত সময় লাগবে, তা বৃহস্পতিবার বেলা পর্যন্ত স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি দমকলবাহিনী।
পুরীতে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে। বিশেষ করে এই সময় মাধ্যমিক-সহ বেশ কিছু পরীক্ষা শেষ হওয়ায় পুরীতে পর্যটকদের সংখ্যাও বেশি। আগুনের খবরে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকদের মধ্যে। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। মন্দির চত্বর সংলগ্ন গোটা এলাকাটিকে ব্যারিকেড করে চলেছে আগুন নেভানোর কাজ। প্রশাসন যথাবিধি পদক্ষেপ করছে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলেও আশ্বস্ত করেছে প্রশাসন।