দিল্লি, ২৮ নভেম্বর– এক ধাক্কায় বহু কর্মীকে ছাঁটাই করেছে আমাজন। সেই গণ ছাঁটাইয়ের অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই আমাজনকে নোটিস পাঠিয়েছিল শ্রমমন্ত্রক । তার উত্তরে অবশ্য আমাজনের তরফে বলা হয়েছে, কাউকে ছেঁটে ফেলা হয়নি। কয়েকজন কর্মী স্বেচ্ছায় সংস্থা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এই জবাবে সন্তুষ্ট না হয়েই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শ্রম মন্ত্রকের মতে, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে শ্রমিক আইন লঙ্ঘন করেছে আমাজন। সেই তথ্য জানতেই তদন্ত চালানো হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মীদের একটি সংগঠনে নাইটসের তরফে শ্রমমন্ত্রী ভূপিন্দর যাদবের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। ভারতের শ্রমিক আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই আমাজনের বিপুল সংখ্যক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই আমাজনের কাছে জবাব তলব করে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। উত্তরে আমাজন জানায়, কোম্পানি থেকে কোনও কর্মীকেই ছাঁটাই করা হয়নি। স্বেচ্ছায় আমাজন থেকে সরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে কর্মীদের কাছে। সেইভাবেই কোম্পানি ছেড়ে চলে গিয়েছেন বেশ কয়েকজন কর্মী।
কিন্তু নাইটসের প্রেসিডেন্ট হরপ্রীত সিং সালুজা বলেছেন, বাস্তবে এমনটা মোটেই ঘটেনি। হরপ্রীতের মতে, “কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁরা যেন স্বেচ্ছায় আমাজনের চাকরি ছেড়ে চলে যান। যাঁরা এই প্রস্তাবে রাজি হননি, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, অবসরকালীন কোনও সুবিধা না দিয়েই কোম্পানি থেকে ছেঁটে ফেলা হবে এই কর্মীদের। সেই কারণেই স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব মানতে বাধ্য হন কর্মীরা। সরাসরি না হলেও ঘুরপথে ছাঁটাই করেছে আমাজন।”
এই অভিযোগের পরেই তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও আমাজনের তরফে এই তদন্ত প্রসঙ্গে কিছুই বলা হয়নি।