কলকাতা, ১ জানুয়ারি – জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজাহার বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন বলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি সোশ্যাল হ্যান্ডেলের দাবি , সোমবার ভোরে বিস্ফোরণের জেরে পাকিস্তানে নিহত হন মাসুদ। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের শহর ভওয়ালপুরের অদূরে সোমবার ভোরে পর পর কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের কবলে পড়ে মাসুদের গাড়িও। এই বিস্ফোরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই বিষয়ে পাকিস্তান সরকার কোনও বিবৃতি দেয়নি।
২০০১ সালে সংসদ হামলা থেকে শুরু। ২০১৬ সালে পাঞ্জাবে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা আক্রমণের মাস্টারমাইন্ড জঙ্গিনেতা মাসুদ আজাহার। ২০০১ সালে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তালিকা ভুক্ত করা হয় এই জঙ্গিনেতাকে। ২০১৯ সালে মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
খবরে জানা গেছে, সোমবারে ভোরে ভওয়ালপুরের মসজিদ থেকে ফেরার পথে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের নিশানা হন মাসুদ। তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে পর পর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মাদকের ব্যবসা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং ট্রাস্টের নাম করে টাকা তোলার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে মাসুদের নামে।
গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে একাধিক ভারত বিরোধী কাশ্মীরি এবং খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা খুন হয়েছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর দিকে নিশানা করা হয়েছে। নভেম্বরে করাচিতে খুন হয়েছিলেন জইশের প্রথম সারির নেতা মৌলানা রহিমউল্লা।
নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে ভারতীয় সেনার হাতে ধরা পড়েন মাসুদ। সেই সময় ভারতীয় সেনার হাতে ধরা পড়েন। প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে কান্দাহার বিমান ছিনতাইকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই নেতা।
২০০১ সাল থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ‘নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তালিকা’য় রয়েছে জইশ।
সোমবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে একটি গাড়ি বিস্ফোরণে তছনছ হতে দেখা যায়। সূত্রের দাবি, ওই গাড়িতেই ছিলেন মাসুদ আজাহার। পাঞ্জাবের এক মসজিদ থেকে ফিরছিলেন জইশ প্রধান। তখনই ঘটে বিস্ফোরণ।