২২ এপ্রিলের পর ঘরছাড়া রাহুল, আশ্রয় দিতে চান বহু শুভানুধ্যায়ী

রাহুলের নিজেই নিজেকে মনে মনে প্রশ্ন করছেন , ২২ এপ্রিলের পর কোথায় থাকবেন তিনি। এই অবস্থায় ১০ জনপথে মা সোনিয়া গান্ধির র বাংলোতেই তাঁর ওঠার সম্ভাবনা । কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের অনেক নেতাই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির থাকার জায়গার দায়িত্ব নিয়ে চেয়েছেন। তাঁদের অন্যতম কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে।  তাঁর বাংলোয় থাকার জন্য রাহুলকে বিশেষ অনুরোধ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি।

এদিকে, দিল্লির এক মহিলা এআইসিসির দফতরে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, দলনেতা রাহুলের থাকার জন্য দিল্লিতে তাঁর চার কামরার একটি ফ্ল্যাট দিতে চান। ফ্ল্যাটটি ফাঁকাই পড়ে আছে। মহিলা দিল্লির কংগ্রেস সেবাদলের একজন কর্মী।

তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আমন্ত্রণটি এসেছে অযোধ্যার প্রখ্যাত তীর্থক্ষেত্র হনুমানগড়ি মন্দিরের মহন্ত সঞ্জয় দাসের কাছ থেকে।সঞ্জয় দাস হনুমানগড়ির প্রধান পুরোহিত মোহন্ত জ্ঞান দাসের উত্তরসূরি। সংকটমোচন সেনার জাতীয় সভাপতিও এই মোহন্ত সঞ্জয় দাসই। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,”অযোধ্যার মোহন্তদের তরফে আমরা রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাচ্ছি। উনি এখানে এসে প্রার্থনা করলে করতেই পারেন। শুধু তাই নয়, এখানে অনেক আশ্রম আছে। রাহুল গান্ধী চাইলেই কোনও আশ্রমে এসে থাকতে পারেন। আমরা খুশিই হব।”


এর আগে ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন রাহুল পাশে পেয়েছিলেন অযোধ্যার আরেক মোহন্তকে। অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস রাহুলের যাত্রার শুভকামনা করে চিঠি লিখেছিলেন। যাত্রার সাফল্য কামনা ছাড়াও ‘ভারতের একতা’র মতো ‘মহৎ উদ্দেশ্যে’ যাত্রা করায় কংগ্রেস  শীর্ষ নেতার প্রশংসা করেন তিনি। যোগীর গড় থেকে এই সমর্থন তাৎপর্যপূর্ণ ।
উল্লেখ্য, মানহানির মামলায় সাজা পেয়ে সাংসদ পদ হারিয়েছেন রাহুল গান্ধি। তাই দিল্লির সরকারি বাংলো ছেড়ে দিতে হবে রাহুল গান্ধিকে। গত সপ্তাহে রাহুলকে লোকসভার সচিবালয় থেকে নোটিস পাঠিয়ে জানানো হয়, সাংসদ হিসেবে তিনি যে সরকারি বাংলোয় থাকছেন, সেই ১২, তুঘলক লেনের বাড়ি ২২ এপ্রিলের মধ্যে খালি করতে হবে। রাহুলও জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই বাংলো খালি করে দেবেন তিনি । তবে ২২ এপ্রিলের পর তাঁর নতুন  ঠিকানা কোথায় হবে সেদিকেই তাকিয়ে তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা।