দিল্লি, ২৫ অগাস্ট – মণিপুরের হিংসা সংক্রান্ত যে মামলাগুলির তদন্ত ভার সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে, সেই মামলাগুলি অসম হাই কোর্টে হস্তান্তরের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই সমস্ত মামলাগুলির বিচারের জন্য নিম্ন আদালত মনোনীত করার সিদ্ধান্ত গৌহাটি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে অভিযুক্তদের রিমান্ডে নেওয়া, হিংসায় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং সাক্ষীদের শুনানি সমস্ত প্রক্রিয়াই গুয়াহাটিতে হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ওভিজুলদের হাজিরা, পুলিশ হেফাজত, জেল হেফাজত এবং হেফাজতের মেয়াদ সংক্রান্ত মামলা অনলাইনে হবে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নির্যাতনের শিকার, কোন সাক্ষী এবং সিবিআই মামলায় যুক্ত কারও যদি অনলাইনে মুখ দেখতে আপত্তি বা ভয় থাকে, তবে তিনি গৌহাটির আদালতে সরাসরি হাজিরা দিতে পারেন। এজন্য মণিপুর সরকারকে প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
মণিপুর সংক্রান্ত সিবিআই মামলাগুলির শুনানি হবে অসমের আদালতে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
প্রসঙ্গত, মণিপুরের কংপোকপিতে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানোর ঘটনার ভিডিও এবং গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে গত ২০ জুলাই কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর গত ৮ অগস্ট মণিপুরে ঘটা হিংসার তদন্ত এবং হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের উপর নজরদারির জন্য হাই কোর্টের তিন অবসরপ্রাপ্ত মহিলা বিচারপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গড়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
ওই দিনের শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি শীর্ষ আদালতকে জানান, কংপোকপির ঘটনা-সহ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ১১টি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সুপ্রিম কোর্ট তখন নির্দেশ দিয়েছিল, ভিন্রাজ্যের পাঁচ জন ডিএসপি স্তরের অফিসার সিবিআই তদন্তের উপর নজরদারি করবেন। তাঁদের উপরে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার দত্তাত্রেয় পড়সলগিকর। সেই সঙ্গেই শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, মণিপুরে হিংসার ঘটনার তদন্তে যুক্ত ৪২টি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর উপর নজরদারি করবেন ভিন্রাজ্যের ডিআইজি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকেরা। এক জন ডিআইজি ছ’টি সিটের উপর নজরদারি করবেন।