কিন্তু শুক্রবার বেশি রাত থেকে ভোর পর্যন্ত টানা সংঘর্ষ চলে পশ্চিম ইম্ফলের বেশ কিছু গ্রামে। সারা রাত ধরে চলে বোমা, গুলির লড়াই। দুই তরফের হামলায় ১৫ জন আহত হয়। তাদের ইম্ফলের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে, মণিপুর থেকে শিক্ষা নিয়ে মেঘালয় সরকার রাজ্যের চলতি সংরক্ষণ নীতি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৯৭৪ সালে চালু ওই সংরক্ষণ নীতির চালু হওয়ার পর পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে বলে মেঘালয় সরকার মনে করছে।
এদিকে মণিপুর থেকে দিল্লি ফেরার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ শর্ত দেন পনেরো দিন শান্তি বজায় রাখলে সরকার দু পক্ষের দাবি বিবেচনা করবে। তারপর দু’দিনও শান্ত থাকল না রাজ্য। পম্বিখপ এবং বিষ্ণুপুর জেলাতেও নতুন করে গোলমালের খবর পাওয়া গিয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর প্রতিবেশী রাজ্যগুলিও মণিপুরের ঘটনায় চিন্তিত। উদ্বেগের কথা তারা দিল্লিকে জানিয়েছে।
পশ্চিম ইম্ফলে শনিবার ভোর রাতের সংঘর্ষকে সরকারের প্রতি অনাস্থা বলেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কুকিদের বিরুদ্ধে।
প্রশাসনকে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে রাজ্যে বিপুল সংখ্যায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকা সত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে ওই রাজ্যে ১০ হাজারের বেশি সেনা জওয়ান মোতায়েন আছে। আছে অসম রাইফেলস, এবং মণিপুর সহ একাধিক রাজ্যের পুলিশ।
প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, সংঘর্ষে লিপ্ত মইতেই এবং কুকিদের হাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রয়েছে। কীভাবে এট অস্ত্র সাধারণের হাতে গেল তার জবাব মিলছে না। প্রশাসনের একাংশ মনে করছে, দীর্ঘ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দু পক্ষই।