• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অগ্নিগর্ভ মণিপুরে এবার রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের শিবিরে অস্ত্র লুটের চেষ্টা, মৃত ১

ইম্ফল, ৫ জুলাই–  মণিপুরে রাজপথের দাঙ্গা এবার নতুন মোড় নিয়েছে লুটপাটের মধ্যে দিয়ে। মঙ্গলবার রাতে থৌবাল জেলার ৩ নম্বর রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের শিবিরে চড়াও হয়ে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করে কয়েকশো মানুষের ভিড়। ভিড় রুখতে এগিয়ে আসে কর্তবরত জওয়ানরা। এই ঘটনায় জওয়ানদের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে একজনের। ২৩ জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। লি

ইম্ফল, ৫ জুলাই–  মণিপুরে রাজপথের দাঙ্গা এবার নতুন মোড় নিয়েছে লুটপাটের মধ্যে দিয়ে। মঙ্গলবার রাতে থৌবাল জেলার ৩ নম্বর রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের শিবিরে চড়াও হয়ে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করে কয়েকশো মানুষের ভিড়। ভিড় রুখতে এগিয়ে আসে কর্তবরত জওয়ানরা। এই ঘটনায় জওয়ানদের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে একজনের। ২৩ জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। লি ও অস্ত্র লুট করার চেষ্টা করে তারা। সেই সময় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির।

ঘটনার পর সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেনার গতিবিধি আটকাতে প্রথমে রাস্তা অবরোধ করে দাঙ্গাকারীরা। পরে রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের শিবির থেকে তারা অস্ত্র লুটের করার চেষ্টা করে। যদিও অসম রাইফেলস এবং আরএএফ তাদের আটকাতে সফল হয়েছে। রোধ করা গিয়েছে অস্ত্র লুটের চেষ্টা। তখনই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। ঘটনায় জখম হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন। উল্লেখ্য, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও এখনও বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দাঙ্গায় অভিযুক্ত ৩২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মনিপুরে মেতেই ও কুকিদের জাতিদাঙ্গায় গত দু’মাস ধরে উত্তাল মণিপুর। কোনো কিছুতেই থামতে রাজি নয় উত্তরপূর্বের রাজ্যে এই জাতিদাঙ্গা। এদিকে সোমবার মণিপুরের হিংসার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের কাছে ‘স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ তলব করেছে শীর্ষ আদালত।  মেতেই ও কুকিদের সঙ্গে আলোচনা, আবেদন-নিবেদন করেও হিংসা থামাতে ব্যর্থ কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। এমনকি মনিপুরে হাজির হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পর্যন্ত। তা সত্বেও অশান্তিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১২০ জন। আহত ৩ হাজারের উপর। ঘরছাড়া লক্ষাধিক। এতে চাপ বাড়ছে পাশের রাজ্যগুলিতেও। আশ্রয়ের খোঁজে পড়শি রাজ্যে ভিড় করছেন বহু মানুষ। যার মধ্যে মিজোরাম অন্যতম। মণিপুর থেকে মিজোরামে ১২ হাজার ১৬২ জন শরণার্থী পালিয়ে এসেছেন।