• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

৯ মন্ত্রীসহ শপথ নিলেন মানিক, তিপরা মথাকে জোটে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল বিজেপি 

আগরতলা, ৮ মার্চ — বুধবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নিলেন মানিক সাহা। আগরতলায় স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা এবং বিজেপির শীর্ষস্থানীয় অন্য নেতারা। তবে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর বিজেপির বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ

আগরতলা, ৮ মার্চ — বুধবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নিলেন মানিক সাহা। আগরতলায় স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা এবং বিজেপির শীর্ষস্থানীয় অন্য নেতারা। তবে নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর বিজেপির বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলে শপথগ্রহণ বয়কট করল সিপিএম এবং কংগ্রেস।মানিক সাহা ছাড়াও তাঁর মন্ত্রিসভার অন্য আট সদস্য যথাক্রমে রতনলাল নাথ, প্রণজিৎ সিংহরায়, সুশান্ত চৌধুরী, সান্ত্বনা চাকমা, বিকাশ দেববর্মা, সুধাংশু দাস, টিঙ্কু রায় এবং শুক্লাচরণ নোয়াতিয়াও শপথ নিয়েছেন। 

ময়দানে লক্ষাধিক জনতার উপস্থিতিতে আজ বুধবার সকাল এগারোটা ১০ মিনিটে ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর ডা. মানিক সাহা এবং তাঁর নয় সদস্যের মন্ত্রীমণ্ডল শপথ নিয়েছেন।

রাজ্যের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব এখনই কোনও বিধায়ককে দিতে চায় না পদ্মশিবির। বিজেপির একটি অংশের দাবি, তিপ্রা মথা প্রধান প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেববর্মার সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রাথমিক পর্বের আলোচনা ভেস্তে গেলেও ত্রিপুরার শাসকদলের আশা, বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন উপজাতিদের ‘মহারাজা’। সে ক্ষেত্রে ওই ৩টি দফতরের দায়িত্ব যেতে পারে তিপ্রা মথার কাছে।
আসন এবং ভোট শতাংশ কমলেও ৩২টি আসন পেয়ে আরও এক বারের জন্য ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ২০১৮ সালে বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল বিজেপি। তবে নানা বিতর্কের মুখে ভোটের কয়েক মাস আগে বিপ্লবকে সরিয়ে মানিককে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। এ বার ধনপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী প্রতিমা ভৌমিককে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে জল্পনা ছিল দলের অন্দরমহলে । তবে সোমবার রাজ্যপালের কাছে সরকার গ়ড়ার আবেদন জানানোর পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, আরও একবার মানিকের উপরেই আস্থা রাখতে চলেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।