গান্ধীনগর ,২ নভেম্বর —মরবির সেতু ভাঙার ঘটনা যেন চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে।এক নিমিষেই এতগুলো প্রাণ জলের তলায় তলিয়ে গেল।ঘটনায় গোটা দেশ মর্মাহত।অন্যদিকে নিজেদের গাফিলতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এই ঘটনাকে ঈশ্বরের ইচ্ছা বলে দায় এড়াতে চাইছেন ধৃত ম্যানেজার। মোরবি ব্রিজের এত বড় দুর্ঘটনা নাকি ঈশ্বরের ইচ্ছায়। তিনিই প্রাণ নিয়েছেন প্রায় দেড়শো মানুষের। আদালতে এমনটাই দাবি করলেন ওরেভা সংস্থার ম্যানেজার দীপক পারেখ ।সেতু সংরক্ষণকারী এই সংস্থার ম্যানেজার-সহ ৯ জন গতকাল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় মরবির তার গুলোতে মর্চে পরে গেছিলো ,দীর্ঘদিন যাবৎ যে মেরামতির কাজ চলছে তখনও সেই মর্চে পড়া তার গুলো সারানো হয়নি। এই গাফিলতির দায়ভার ওদেরকেই নিতে হবে।ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের জন্য কোনও আইনজীবী দাঁড়াবেন না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে গুজরাতের দু’টি বার অ্যাসোসিয়েশন। আজ, বুধবার মোরবি আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দীপক পারেখ নিজেই নিজের সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, ‘এটা ভগবানের ইচ্ছা ছিল। সে জন্যই এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে।’
শুধু তাই নয়, ফরেন্সিক রিপোর্টে জানা গেছে, সংস্কারের সময়ে সেতুর ফ্লোর পরিবর্তন করে নতুন অ্যালুমিনিয়ামের পাত লাগানো হয় চার স্তরে, যা আগের চেয়ে অনেকটাই ভারী। কিন্তু বদলানো হয়নি ব্রিজের কেবলগুলি। ফলে সেতুর নতুন ফ্লোরের ওজন বহন করা মুশকিল হয়ে পড়ে কেবলগুলির পক্ষে। কেবল বদলানো হলে এত বড় বিপদ ঘটত না।