দেরাদুন, ৩০ আগস্ট– স্ত্রী রান্নাতে সাহায্য করতে বলে এতটাই রেগে যান স্বামী সেই রাগে তিন শিশুকন্যা সহ পরিবারের মোট ৫ জন সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করে বসলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে। জানা গেছে, অভিযুক্ত মহেশ তিওয়ারি কোনও কাজকর্ম করে না। তার দাদা স্পেনে থাকেন, সেখান থেকেই ভাইয়ের সংসার চালানোর জন্য নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তিনি। মহেশ অত্যাধিক ধার্মিক বলে জানিয়েছে পুলিশ, সারাদিন পুজো আচ্চা নিয়েই থাকত সে। এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা লেগেই থাকত তার। সোমবার সকালেও পুজোর বসেছিল সে। সেই সময় তার স্ত্রী নীতু তাকে প্রাতঃরাশ তৈরিতে সাহায্য করতে বলে। সেই নিয়েই অশান্তি শুরু হয়। তারপরেই দেখা যায় রান্নার গ্যাস ফুরিয়ে গেছে। নতুন সিলিন্ডার লাগানোর পর দেখা যায় সেটিও খালি। তারপরেই ঝামেলা চরমে ওঠে। রান্নাঘরে রাখা ছুরি তুলে নিয়ে সটান স্ত্রীর গলা কেটে ফেলে সে।
এরপরেই মেজ মেয়েকে স্বর্ণাকেও (১১), অন্য দুই মেয়ে অপর্ণা (১৩) এবং অন্নপূর্ণা (৯) এবং নিজের মা বিতানদেবীকেও (৭৫) একই ভাবে খুন করে সে । তারপর সে ঘরে ঢেকে দরজা বন্ধ করে বসে ছিল বলে জানা গেছে।
চেঁচামেচি শুনে এক প্রতিবেশী ছুটে আসেন। বাড়িতে ঢুকেই তিনি দেখেন, রক্তের স্রোত বয়ে যাচ্ছে। তিনিই খবর দেন পুলিশকে। ঘটনাস্থলে আসে রানিপোখরি থানার পুলিশ। তাঁরা গ্রেফতার করে মহেশকে। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। খুনে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরিটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।