• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

অমিতের হুঙ্কারে সরকার ফেলার চক্রান্তের ইঙ্গিত ,জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি মমতার

কলকাতা, ১৭ এপ্রিল– বঙ্গ সফরে এসে ভরা জনসভায় তৃণমূল সরকার ফেলার চক্রান্তের ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেই চক্রান্তের জবাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সংম্মেলন করে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরই পদত্যাগ দাবি করলেন।  চৈত্র সংক্রান্তির ঠাঠাপোড়া দুপুরে সিউড়িতে জনসভা সভা থেকে শাহ বলেছিলেন, চব্বিশে বাংলায় ৩৫টি লোকসভা আসনে পদ্মফুল ফোটাতে পারলেই ২০২৫ সালে

কলকাতা, ১৭ এপ্রিল– বঙ্গ সফরে এসে ভরা জনসভায় তৃণমূল সরকার ফেলার চক্রান্তের ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেই চক্রান্তের জবাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সংম্মেলন করে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরই পদত্যাগ দাবি করলেন। 

চৈত্র সংক্রান্তির ঠাঠাপোড়া দুপুরে সিউড়িতে জনসভা সভা থেকে শাহ বলেছিলেন, চব্বিশে বাংলায় ৩৫টি লোকসভা আসনে পদ্মফুল ফোটাতে পারলেই ২০২৫ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ফুস হয়ে যাবে। সোমবার নবান্নে বসে সেই মন্তব্য নিয়ে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৪ এপ্রিল বাংলায় মিটিং করতে এসেছিলেন অমিত শাহ। তিনি মিটিং করতেই পারেন। এটা তাঁর স্বাধীনতা। তাঁর পার্টির উদ্দেশে, জনগণের উদ্দেশে, কী বলবেন সেটাও তাঁর নিজের ব্যাপার। কিন্তু সংবিধানের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কখনওই বলতে পারেন না ৩৫টি আসন পেলে বাংলায় সরকার পড়ে যাবে।’ 

তবে শুধু বিজেপির এই ৩৫-এ কে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, এটা স্বপ্নই থেকে যাবে। এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে তো পাঁচটা পেয়ে দেখা, তারপর ৩৫টা পাবি!’

মমতা এও বলেন, একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে চক্রান্ত করছেন। এত ঔদ্ধত্য যে, গণতন্ত্র, সংবিধানকে রক্ষা করার পরিবর্তে নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে দেবেন বলছেন।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ৩৫ আসনের প্রসঙ্গ টেনে মমতার প্রশ্ন, ‘সরকার ভাঙার জন্য কি এবার সংবিধান বদল করার চেষ্টা হচ্ছে? আইন বদল করার চেষ্টা হচ্ছে?’

তৃণমূল এই বক্তব্য নিয়ে আগেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। এদিন সরাসরি অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করলেন মমতা। শুধু তাই নয়। 

উল্লেখ্য, দু’দিনের রাজ্য সফরে এসেছিলেন শাহ। প্রথম দিন সিউড়িতে জনসভায় বঙ্গ বিজেপিকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন। এর পর দক্ষিণেশ্বরে পুজো দেওয়া ছাড়াও বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরের দিন আলাদা ভাবে কথা বলেন শুভেন্দু ও সুকান্তর সঙ্গে। সূত্রের খবর, শাহের ৩৫ আসনের দাবি শুনে দৃশ্যতই হতবাক ছিলেন বিজেপি নেতারাই। তাঁদের মনের অবস্থা কিছুটা আঁচ করতে পেরেই শাহ নিজে থেকেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। সেই প্রসঙ্গেই তিনি ওই কথা বলেন।