কলকাতা, ১৪ অক্টোবর – মহালয়া থেকেই কলকাতার বিখ্যাত পুজোগুলির উদ্বোধন হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। কিন্তু এবছর পায়ে চোট নিয়ে ঘরবন্দি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাই এবার ভারচুয়াল উদ্বোধনের মাধ্যমেই বিভিন্ন পুজোর সূচনা করছেন তিনি। ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যারও উদ্বোধন হল এভাবেই। এই বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নিজের লেখা একটি বইয়েরও উদ্বোধন হল শনিবার। সেই অনুষ্ঠানে নিজের পায়ের সমস্যার কথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে মমতার বার্তা, ”কোনও বিদ্বেষ নয়। ভাগাভাগি নয়। সবাই একসঙ্গে থাকুন।”
এদিন ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যার উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”শুভ মহালয়া। আজ আমি যেতাম। কিন্তু প্রথমে হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে লাগে, পরে আবার বার্সেলোনায় চোট লাগে। সেই নিয়েই কাজ করে গিয়েছি। কিন্তু ফিরে অপারেশন হয়। তার পর বড় ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল। কীভাবে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে সংঘর্ষ করে ১৫ দিন কষ্ট করে ফিরে এসেছি। টানা স্যালাইনের চ্যানেল করে আইভি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এখন অনেকটাই সুস্থ। হাঁটছি।” এর পরই শারদ শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”আমাদের পুজো ইউনেস্কো হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার ।পুজো ভাল করে কাটান। নিজের এলাকায় থাকবেন।”
তৃণমূল মুখপত্রের নিরপেক্ষতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ”আজকাল কোনও কিছুই নিরপেক্ষ নেই। সবই এক পক্ষ। তবে আমাদের জাগো বাংলা অনেকটাই নিরপেক্ষ। আমরা এখনও বিজ্ঞাপন নিই না।” ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে, যার নাম ‘ভাবছি’। তাঁর একটি নতুন বইও প্রকাশিত হল মহালয়ার দিন।