• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

‘এজেন্সিরাজ’-এর বিরুদ্ধে তোপ দেগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টুইটে আক্রমণ শানালেন মমতা

কলকাতা , ২০ মে – ২০১১ সালের ২০ মে মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সেকথা উল্লেখ করে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে এদিনই অভিষেককে নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআই। এদিন মমতা টুইটে লেখেন, “২০১১ সালের আজকের দিনে ৩৪ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটিয়ে মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমরা আবারও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম সাধারণ মানুষের সেবা করে যাব। কেন্দ্রের হুকুমদারির

কলকাতা , ২০ মে – ২০১১ সালের ২০ মে মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। সেকথা উল্লেখ করে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে এদিনই অভিষেককে নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআই। এদিন মমতা টুইটে লেখেন, “২০১১ সালের আজকের দিনে ৩৪ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটিয়ে মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমরা আবারও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম সাধারণ মানুষের সেবা করে যাব। কেন্দ্রের হুকুমদারির সরকারের এজেন্সিরাজ প্রতিদিন আমাদের কাজ কঠিন করে দিচ্ছে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ মানুষে আমাদের পাশে রয়েছে। ২০ মে দীর্ঘজীবী হোক।”
শুক্রবার দুপুরে সিবিআই নোটিস পাঠায় অভিষেককে। শনিবার সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। অভিষেক তখন বাঁকুড়ায়। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে গত ২৫ দিন ধরে জেলায় জনসংযোগে ব্যস্ত অভিষেক। স্বাভাবিকভাবেই একদিন সময় না দিয়ে সিবিআই তলবে যথেষ্ট বিরক্ত অভিষেক। 

শুক্রবার পাত্রসায়রে জনসভা ছিল তৃণমূল সাংসদের। সিবিআই তলবের পর ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি স্থগিত রেখেই রাতে কলকাতায় ফেরেন অভিষেক। পাত্রসায়রের সভা করতে না পারায় কলকাতা থেকে ভারচুয়ালি ওই সভায় যোগ দেন মমতা। বক্তব্য রাখার সময়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন তৃণমূল নেত্রী।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ১২ বছর আগে ২০ মে তারিখেই শপথ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সেই দিনটিকে স্মরণ করে টুইটে রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।  একইসঙ্গে এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও তুলোধোনা করেন মমতা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখন তাঁর কাজ বেশি কঠিন। কারণ, বিজেপি সরকারের অঙ্গুলিহেলনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির ‘রাজ’ চলছে। ঘটনাক্রমে তৃণমূল নেত্রী যখন এই টুইট করেছেন, তখন সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি তাঁর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অ-বিজেপি রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। বহু বার এই অভিযোগ করেছেন মমতা। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে কয়লা-গরু পাচার— সর্বত্র বেছে বেছে তৃণমূলের লোকেদের জড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি । এর মধ্যে শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের চিঠিকাণ্ডে অভিষেককে সমন পাঠায় সিবিআই। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি অসমাপ্ত রেখেই কলকাতা ফেরেন অভিষেক। যা নিয়ে মমতার অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে রাজনীতিতে না পেরে উঠে এই কাজ করছে বিজেপি। তিনি বলেন, ‘‘ইডি-সিবিআই তৃণমূলকে খুব ভয় পায়। নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক ২৫ দিন ধরে রাস্তা রয়েছে। কী করে এই কর্মসূচি বন্ধ করা যায় তার চেষ্টা করছে বিজেপি।’’ এর পর সম্প্রতি কর্নাটক বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘শুধু কর্নাটক নয়, দেখবেন বাকি সব জায়গায় হারবে। শুধু উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাত নিয়ে থাকবে। কিন্তু অভিষেককে আটকে নবজোয়ার কর্মসূচি বন্ধ করা যাবে না। অভিষেককে যদি ওরা আটকে রাখে তবে জেলায় জেলায় আমি যাব।’’ মমতা এ-ও বলেন,‘‘বিজেপির কাছে মাথা নত করব না। বিজেপিকে দেশছাড়া না করা পর্যন্ত এই লড়াই চলবে।’’
মমতা জানান, প্রয়োজনে তিনি তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে নিজেই যাবেন।