কলকাতা , ২২ আগস্ট – দুর্গাপুজোর অনুদান গতবছরের থেকে বাড়লো আরও ১০ হাজার টাকা। ৬০ হাজার থেকে বাড়িয়ে বারোয়ারি প্রতি ৭০ হাজার টাকা অনুদান ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে পুজো কমিটিগুলিকে সরকারের বিভিন্ন দফতর বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং দেবে। পর্যটন থেকে শিল্প দফতর সরকারি কাজের হোর্ডিং দেবে বারোয়ারি পুজোকে। সেই বাবদও টাকা পাবে পুজো কমিটিগুলি। বিদ্যুতের বিলেও মিলবে ছাড়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো, বিদ্যুতের যা বিল আসবে তার তিন ভাগের এক ভাগ টাকা মেটাতে হবে বারোয়ারিকে। এই বছর বিসর্জন করতে হবে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন ২৭ অক্টোবর হবে পুজোর কার্নিভ্যাল।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুলিশ, প্রশাসন ও পুজো কমিটি নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা। একই সঙ্গে রাজ্যের সব জেলাতেও সরাসরি বৈঠকের সম্প্রচার হয়। জেলা প্রশাসনও যোগ দেয় বৈঠকে। মমতা পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য স্কুলের পড়ুয়াদের স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। মণ্ডপে প্রবেশ ও বাহিরের আলাদা পথ রাখতে হবে। সেই সঙ্গে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখতে হবে।’’ বিসর্জনের জায়গায় আলো ও ব্যারিকেডের ব্যবস্থায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা এখন থেকেই করে রাখতে হবে জেলায় জেলায়। পুজোর সময় হেল্পলাইন নম্বর কার্যকর রাখতে হবে। পুজো কমিটিগুলিতে বার বার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য মাইকে ঘোষণা করতে হবে। জনকল্যাণমূলক হোর্ডিং রাখতে হবে। সরকারের বিভিন্ন দফতর বিজ্ঞাপন হিসাবে হোর্ডিং দিলেও তা কম দামের হবে।
বৈঠক শেষে বাংলার দুর্গাপুজো যে বহু মানুষের রোজগারের ব্যবস্থাও করে তা উল্লেখ করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজোকে কেন্দ্র করে ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজার তৈরি হয়। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন লোকশিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের পুজোয় জায়গা করে দিতে হবে। তাঁদের যাতে পুজোর সময় বাড়তি রোজগার হয় সেটা দেখতে হবে।’’ মমতা জানান, রাজ্যে এখন ৪০ হাজার বারোয়ারি পুজো হয়। কলকাতার তিন হাজার বাদ দিলে বাকিটা জেলায়। আবাসনের পুজোরও প্রশংসা করেন মমতা। সেই সঙ্গে পরিবহণ ও পুলিশকে পুজোর জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।