• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘ইন্ডিয়া’র মুখেদের সাধনবাণী খাড়গের, মোদি সরকার বিরোধী নেতাদের জেলে পুরবে

মুম্বই, ১ সেপ্টেম্বর– আসন বন্টণেই যেন থমকে যাচ্ছে ইন্ডিয়া জোট। শুক্রবার মুম্বইয়ে বিরোধী দলগুলির তৃতীয় বৈঠকে লোগো প্রকাশের কথা থাকলেও তা আর হয়ে ওঠেনি। কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ২৬ দলকে একমত করতে না পারলেও মোদি সরকারকে বিঁধতে ছাড়েননি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।  বৈঠকে উদ্বোধনী ভাষণে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশে বলেন, যা খবর পাচ্ছি, বিরোধী নেতাদের

মুম্বই, ১ সেপ্টেম্বর– আসন বন্টণেই যেন থমকে যাচ্ছে ইন্ডিয়া জোট। শুক্রবার মুম্বইয়ে বিরোধী দলগুলির তৃতীয় বৈঠকে লোগো প্রকাশের কথা থাকলেও তা আর হয়ে ওঠেনি। কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ২৬ দলকে একমত করতে না পারলেও মোদি সরকারকে বিঁধতে ছাড়েননি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।  বৈঠকে উদ্বোধনী ভাষণে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশে বলেন, যা খবর পাচ্ছি, বিরোধী নেতাদের অনেককেই নরেন্দ্র মোদির  সরকার আগামীদিনে জেলে পুরবে । এই সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ। আপনারা সাবধানে থাকবেন। খাড়গে বলেন, আগামী দিনগুলিতে বিরোধীদের উপর অনেক হামলা, জুলুমবাজি হবে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে। এই সাধনবাণীতে যেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আশংকাকেই সিলমোহর দিলেন খাড়গে। কেননা  দিন তিনেক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গ্রেফতার করা হতে পারে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কংগ্রেস সভাপতির এই বক্তব্যকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিরোধী রাজনৈতিক শিবির। প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ঘোষণা করেই দিয়েছেন, তিনি দুর্নীতির শেষ দেখে ছাড়বেন। সেই ভাষণের ক’দিন পরই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-কে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিবাজদের এক ছাতার তলায় আসার সঙ্গে তুলনা করেছেন। বলেছেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করায় ভ্রষ্টাচারীরা একত্রিত হয়েছে।
এই বক্তব্যে ইন্ডিয়া জোটের বেশ কিছু নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সাবধানবাণী তা বলার অবকাশ রাখে না। কেননা, সোনিয়া গান্ধি, রাহুলদের ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ফের তলবের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না হাত শিবির। ওদিকে, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ যাদবের জামিন খারিজের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। অর্থাৎ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে লোকসভা ভোটের আগে তারা ফের জেলে পাঠাতে চায়।
লালুপ্রসাদ বিরোধী জোট নিয়ে খুবই সক্রিয়। অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ আপের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর দিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজর রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকেও আবগারি মামলায় গ্রেফতার করে নেওয়া অসম্ভব নয়। আপের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী বর্তমানে জেলে। ডিএমকে’র এক মন্ত্রী বর্তমানে ইডির হেফাজতে আছেন। আরও এক মন্ত্রীকে নিশানা করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তৃণমূলের অভিষেককে নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
খার্গের বক্তব্যে স্পষ্ট দুর্নীতির অভিযোগে বিরোধী শিবিরের কোনও নেতা-নেত্রীকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি গ্রেফতার করলেও জোটের সব দল যাতে পাশে থাকে, সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। এই বার্তা তৃণমূল, আপ, আরজেডি, ডিএমকে’র মতো দলগুলিকে স্বস্তি দেবে সন্দেহ নেই। খাড়গে তাঁর ভাষণে বলেন, ইন্ডিয়া জোটকে প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তাই তিনি এই জোটকে কখনও উগ্রবাদী সংগঠন তো কখনও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তুলনা টেনেছেন।