• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

জিতেই ভারতকে নিশানা মলদ্বীপ প্রেসিডেন্টের, ভারতীয় সেনা সরানোর ঘোষণা 

মালে, ৪ অক্টোবর– মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েই নিজেকে চিনের পরম বন্ধু প্রমানে ব্যস্ত মহম্মদ মুইজ়ু। ‘চিনপন্থী’ হিসাবে পরিচিত এই নেতা মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমাদের দেশের মাটি থেকে সমস্ত বিদেশি সেনাকে আমারা ফেরত পাঠাব।’ মুইজ়ুর এই ঘোষণায় যে ভারতকেই বিঁধেছেন তা একেবারে স্পষ্ট। কারণ, ভারত মহাসাগরের ওই দ্বীপরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এবং শিল্পক্ষেত্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে

মালে, ৪ অক্টোবর– মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েই নিজেকে চিনের পরম বন্ধু প্রমানে ব্যস্ত মহম্মদ মুইজ়ু। ‘চিনপন্থী’ হিসাবে পরিচিত এই নেতা মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমাদের দেশের মাটি থেকে সমস্ত বিদেশি সেনাকে আমারা ফেরত পাঠাব।’ মুইজ়ুর এই ঘোষণায় যে ভারতকেই বিঁধেছেন তা একেবারে স্পষ্ট। কারণ, ভারত মহাসাগরের ওই দ্বীপরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এবং শিল্পক্ষেত্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় সেনা।

প্রসঙ্গত, মালাবার উপকূলের অদূরের দ্বীপরাষ্ট্রটি ভারতের কাছে কূটনৈতিক এবং রণকৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এ বার প্রভাব বাড়তে পারে চিনের। যা নিশ্চিত ভাবেই নয়াদিল্লির কাছে অস্বস্তির কারণ হবে।

পাঁচ বছর ক্ষমতাসীন থাকার পর গত সপ্তাহে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ সোলি মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হন। বিরোধী দলগুলি সম্মলিত ভাবে সমর্থন ঘোষিত ‘চিনপন্থী’ ওই নেতাকে সমর্থন জানিয়েছিল। শনিবার গভীর রাতে মলদ্বীপের নির্বাচন কমিশন জানায়, মোট বৈধ ভোটের ৫৪.০৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মুইজ়ু। তার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নির্বাচনে হার মানতে হয়েছে সোলিকে। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নজর ছিল ভারতেরও। কারণ সোলির ‘দিল্লিঘেঁষা’ নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েই ভোটের ময়দানে নেমেছিলেন মুইজ়ু।

২০১৮ সাল পর্যন্ত মলদ্বীপের শাসনক্ষমতায় ছিলেন চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন। তাঁর সময় চিনা ঋণ নিয়ে দেশে একাধিক পরিকাঠামোগত নির্মাণ করেন তিনি। ইয়ামিনের ভাবশিষ্য বলে পরিচিত মুইজ়ু এই সমস্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।