ময়না, ৮ এপ্রিল – পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার কয়েক ঘণ্টা আগে আবার উত্তপ্ত ময়নার বাকচা এলাকা। দলীয় পতাকা ঝোলানো নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। শনিবার দুপুরে ইজমালিচক ফুটবল মাঠে সভা করতে শুভেন্দু আসার আগেই শুরু হয়ে যায় অশান্তি । বিজেপির অভিযোগ, শুক্রবার রাতে এলাকায় দলের পতাকা টাঙাতে গেলে তৃণমূল তাদের বাধা দেয়। বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের দাবি, তৃণমূলের পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেয় বিজেপি। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ঝামেলার সূত্রপাত। শনিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোটা এলাকায় পুলিশি প্রহরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, “বেলা ২টো থেকে সভা শুরু হওয়ার কথা। সেইমতো শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সভার আশপাশের এলাকায় বিজেপির পতাকা লাগাচ্ছিলেন কর্মীরা। তখন তৃণমূলও প্রচুর পতাকায় নিয়ে এসে এলাকা মুড়ে ফেলার চেষ্টা করে । কিন্তু সভা না থাকা সত্ত্বেও কেন পতাকা লাগানো হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে বিজেপির কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়। এমনকি আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।’’
অন্য দিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা অনিল কুমার দাসের দাবি, “‘দুয়ারে সরকার’ চলছে বলে এলাকায় তৃণমূলের পতাকা লাগানো হয় । বিজেপির ছেলেরাও রাতে পতাকা টাঙাতে আসে। শুক্রবার গভীর রাতে তৃণমূলের পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেয় বিজেপির লোকজন। বাধা দিতে গেলে আমাদের কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে বিজেপির গুন্ডা বাহিনী। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে এলাকায় টহলদারি শুরু হয়েছে।’’
বিধানসভা নির্বাচনে এই পঞ্চায়েত এলাকায় বিপুল ভোট পায় বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই নতুন করে অশান্তি দানা বাঁধছে এলাকায়। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়না থানার ওসি বদল করে একজন আইসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সভাকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি যাতে না ছড়ায় সেজন্য এলাকায় পুলিশী প্রহরা বাড়ানো হয়েছে ।