• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

বহিষ্কারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ১৫ পাতার অভিযোগ মহুয়ার

দিল্লি, ১১ ডিসেম্বর– শুক্রবার প্রশ্ন ঘুষ কাণ্ডে সাংসদ পদ হারিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে এথিক্স কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী লোকসভায় কমিটির রিপোর্ট পেশের পর ধ্বনিভোটে মহুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন স্পিকার ওম বিড়লা। কিন্তু কমিটির এই রিপোর্ট বা লোকসভার সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ নাদিয়ার সাংসদ। তাই এবার আইনের পথেই হাঁটলেন মহুয়া। এই বিষয়টিকে শীর্ষ আদালতের

দিল্লি, ১১ ডিসেম্বর– শুক্রবার প্রশ্ন ঘুষ কাণ্ডে সাংসদ পদ হারিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে এথিক্স কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী লোকসভায় কমিটির রিপোর্ট পেশের পর ধ্বনিভোটে মহুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন স্পিকার ওম বিড়লা। কিন্তু কমিটির এই রিপোর্ট বা লোকসভার সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ নাদিয়ার সাংসদ। তাই এবার আইনের পথেই হাঁটলেন মহুয়া। এই বিষয়টিকে শীর্ষ আদালতের দোরগোড়ায় নিয়ে গেলেন মহুয়া মৈত্র। অনলাইন মারফত তিনি সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে খবর। দ্রুত তা শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা।

সূত্রের খবর, বহিষ্কারের পদ্ধতিকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে মোট ১৫ পাতার আবেদন তিনি জমা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে । 

উল্লেখ্য, মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলে সরব হন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রি। রিপোর্টে সেকথা উল্লেখ করে প্রাক্তন বন্ধু জয়ের উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন বহিষ্কৃত সাংসদ। ১৫ পাতার রিপোর্টে মহুয়া এও উল্লেখ করেছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে কীভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া এড়িয়ে লোকসভায় তাঁকে কোনো কিছু বলতে না দিয়েই স্রেফ সংখ্যাগরিষ্ঠতার গা-জোয়ারিতে তাঁর সাংসদ পদ কাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মহুয়া।

জানিয়ে রাখি, মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, মহুয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্র সরকার ঘনিষ্ট শিল্পপতি আদানিকে নিয়ে সংসদে শুধু প্রশ্নই করেন নি, বিরোধী প্রশ্ন ইস্যুতেই নিজের লগ-ইন আইডি, পাসওয়ার্ডের মতো গোপন তথ্য অন্যকে দিয়েছেন। যদিও অভিযোগ ওঠার পর মহুয়া দাবি করেন, এই তথ্য শেয়ার করতে পারবেন না, এমন কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তিনি জনগণের প্রশ্ন সংসদে তুলতে চেয়ে নথিভুক্ত করার জন্য বন্ধু দর্শন হিরানন্দানির সংস্থার সাহায্য নিয়েছিলেন। এ সব কিছু সুপ্রিম কোর্টে জমা ১৫ পাতার রিপোর্টে জানিয়েছেন মহুয়া। সূত্রের খবর, অনলাইনে মহুয়া মৈত্রের দায়ের করা এই মামলা শিগগিরই শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হতে পারে।