• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ইডির নিশানায় মহাদেব বেটিং অ্যাপ, কলকাতা সহ বিভিন্ন শহর থেকে ৪১৭ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

ভোপাল, ১৫ সেপ্টেম্বর– কেলেঙ্কারির সূত্রপাত হয়েছিল ছত্তীসগড়ের দুর্গ জেলায়। আর তারপর তা মহামারীর মত ছাড়িয়ে পরে কলকাতা সহ মধ্যপ্রদেশ, মুম্বাই-এর মত রাজ্যে। কেলেঙ্কারির নাম মহাদেব বেটিং অ্যাপ। এই মহাদেব বেটিং সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন মামলায় এবার তল্লাশি চালিয়ে ৪১৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । সেই সূত্র ধরেই কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য যেমন ভোপাল,

ভোপাল, ১৫ সেপ্টেম্বর– কেলেঙ্কারির সূত্রপাত হয়েছিল ছত্তীসগড়ের দুর্গ জেলায়। আর তারপর তা মহামারীর মত ছাড়িয়ে পরে কলকাতা সহ মধ্যপ্রদেশ, মুম্বাই-এর মত রাজ্যে। কেলেঙ্কারির নাম মহাদেব বেটিং অ্যাপ। এই মহাদেব বেটিং সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন মামলায় এবার তল্লাশি চালিয়ে ৪১৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । সেই সূত্র ধরেই কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য যেমন ভোপাল, মুম্বই ইত্যাদি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই তল্লাশি অভিযানে যা উদ্ধার হয়েছে তা দেখে চোখ ছানাবড়া তদন্তকারী  আধিকারিকদের। তল্লাশি অভিযানে সোনার বিস্কুট থেকে শুরু করে বহুমূল্য গয়না এবং নগদ টাকা মিলিয়ে এই বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা

মহাদেব অ্যাপের মূলত গেমিং অ্যাপ কিন্তু তার আড়ালে আদতে চলত বেটিং চক্র । এর আগে গত আগস্ট মাসে মহাদেব অ্যাপ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের মামলায় দুর্গ জেলা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাদের মধ্যে এক পুলিশ অফিসারও ছিল। তারপরেই রায়পুর সহ ছত্তীসগড়ের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাতে শুরু করেছিল ইডি।

সূত্রের খবর, মহাদেব অ্যাপটি পরিচালনা করা হত মূলত দুবাই থেকে, যেখানে বেটিং বৈধ। সেখান থেকেই ফাঁদে ফেলা হত ভারতীয় গ্রাহকদের। এই মামলায় খুব শিগগিরই কয়েকজন মূল অভিযুক্তকে জেরা করতে চলেছে ইডি। এ বিষয়ে প্রয়োজনে দুবাই গিয়েও তদন্ত করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

বস্তুত, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই মহাদেব অ্যাপ সংক্রান্ত ৫০০০ কোটি টাকার একটি আর্থিক লেনদেনের মামলার তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, গেমিং অ্যাপের আড়ালে আদতে চলত বেটিং চক্র। গত এক বছরে ৩০টি আলাদা আলাদা জায়গা থেকে পরিচালনা করা হত এই অ্যাপ । অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ সেখানে বেটিংয়ে অংশ নিয়ে বিনিয়োগ করেছিলেন বলে জানা যায়। মূলত মধ্যবিত্তদেরই টার্গেট করা হত এই অ্যাপের মাধ্যমে।

বেটিংয়ে লাগানো টাকা বিভিন্ন সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা করত অভিযুক্তরা। এসব অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল জাল পরিচয়পত্র দিয়ে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সাধারণ গরিব মানুষদের কাছ থেকে সামান্য টাকার বিনিময়ে তাদের আধার কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। পরে এই সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা থাকা টাকা নিজেদের কর্পোরেট অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করে নেওয়া হত। পুরো বিষয়টা এমন সুচারুভাবে করা হত যাতে কখনওই সেভিংস অ্যাকাউন্টগুলিতে সর্বোচ্চ ৫০-৬০ লক্ষ টাকার বেশি থাকত না। তদন্তে তালরেজা, রতনলাল জৈন এবং শুভম সোনির উল্লেখযোগ্য লেনদেনের কথাও উঠে এসেছে, যাঁরা বর্তমানে কর্তৃপক্ষকে এড়িয়ে চলেছেন।

ইডি সূত্রে জানা গেছে, এরকমই অন্তত ৫০টি কর্পোরেট অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। সেগুলি থেকে আবার ১০ হাজারেরও বেশি সেভিংস অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই অ্যাকাউন্টগুলোতেই সরাসরি ঢুকত বেটিংয়ের টাকা।