ভোট শেষ অভিযোগও শেষ,  মহাদেব অ্যাপ কাণ্ডে সাক্ষীর বয়ান বদলে বিরাট ‘স্বস্তি’ বাঘেলের

ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। (File Photo: IANS)

রায়পুর, ২৫ নভেম্বর– ছত্তিশগড় ভোটের দিনকয়েক আগে মহাদেব ব্যাটিং অ্যাপ নিয়ে বিরাট বিপত্তিতে পড়তে হয় বাঘেল সরকারকে৷ খোদ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অভিযোগ করেছিল, মহাদেব বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে জড়িত ছত্তিশগড়ের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল৷ এজেন্সি জানিয়েছিল, অ্যাপ কান্ডে ধৃত এক ব্যক্তি স্বীকার করেছে সে বাঘেল সরকারের কাছে ব্যাটিং অ্যাপের মোটা টাকা পেঁৗছে দিতে এসেছিল৷ আর এই অভিযোগের পরই ভোটে বিপদ সংকেত দেখতে শুরু করে বাঘেল সরকারের নেতা-কর্মীরা৷ তদন্তে তালরেজা, রতনলাল জৈন এবং শুভম সোনির নাম উঠে এসেছে।

এ তো গেল প্রাক ভোটপর্ব৷ কিন্তু ভোট পরবর্তী গল্পটা আবার অন্য হয়ে গিয়েছে৷ ভোট মিটতেই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে সেই অভিযোগের সত্যতাই৷ যে সাক্ষীর বয়ানের উপর ভিত্তি করে ইডি বাঘেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, তিনিই এবার উলটো কথা বলছেন৷ আসলে মহাদেব অ্যাপ কাণ্ডে কিছুদিন আগেই অসীম দাস নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি৷ কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এই অসীম দাসই বাঘেল-সহ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাদের কাছে টাকা পৌঁছে দিতেন৷ অসীম দাসের লিখিতও বয়ানও ছিল ইডির কাছে৷ ভোট মেটার পর সেই অসীম দাসই ভোলবদলে বলছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল, তিনি কাউকে কোনও টাকা পৌঁছে দেননি৷ জেল থেকেই ইডির ডিরেক্টরকে চিঠি লিখেছেন অসীম দাস৷

তিনি বলছেন, ভুপেশ বাঘেলকে টাকা পৌঁছে দিয়েছেন, এই ধরনের কোনও অভিযোগ তিনি করেননি৷ তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে৷ ইংরেজি ভাষায় লেখা একটি জবানবন্দিতে জোর করে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ অসীমের দাবি, ইংরাজি ভাষাটা ভালো না জানায়, ওই জবানবন্দিতে কী লেখা হয়েছিল, সেটা তিনি প্রথমে বুঝতে পারেননি৷ অসীম দাসের দাবি, মহাদেব অ্যাপের শীর্ষ কর্তা শুভম সোনি তাঁর বন্ধু৷ সেই তাঁকে বলেছিল ছত্তিশগড়ে ব্যবসা করার জন্য টাকা পাঠাবে৷ তার পর তিনি ফোন পেয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নিজের গাড়িটি রেখে দেন৷ সেখানেই অন্য কেউ এসে টাকা দিয়ে যায়৷ সেই টাকা নিয়ে হোটেলে যেতেই তিনি দেখেন ইডি কর্তারা তাঁর ঘরে হাজির৷ তখনই তিনি বুঝতে পারেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে৷


কংগ্রেস বলছে, অসীম দাসের এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি প্রকাশ্যে আসায় এটা স্পষ্ট যে ভোটের আগে ভুপেশ বাঘেলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল ইডি৷ সবটাই করা হয়েছিল কংগ্রেসকে ফাঁসানোর জন্য যাতে ভোটে এর প্রভাব পড়ে৷ ভোট মেটার সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল৷