ইম্ফল, ২৫ জুন – বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে মণিপুর । সেই বিক্ষোভের আগুনেই প্রচন্ড চাপের মুখে ১২ ‘বিক্ষোভকারীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হল ভারতীয় সেনা। উত্তর-পূর্বের ইথাম গ্রামের ঘটনা। সেনাসূত্রে খবর, মহিলাদের নেতৃত্বে প্রায় দেড় হাজার বিক্ষোভকারী দ্রুত এলাকা ঘিরে ফেলে। সেই প্রবল জনচাপে বন্দি বিক্ষোভকারীদের বাধ্য হয়েই ছেড়ে দেয় সেনা। অভিযুক্তরা সকলেই মেইতেই জঙ্গিগোষ্ঠী কাংলেই ইয়াওল কান্না লুপ তথা কেওয়াইকেএলের সদস্য। সেনার তরফে টুইট করে এখবর জানানো হয়েছে ।
শনিবার ইথাম গ্রামের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে মেইতেই গোষ্ঠীর কাংলেই ইয়াওল কান্না লুপের ১২ জন দুষ্কৃতীকে আটক করা হয়েছিল। এই গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরাই ২০১৫ সালে একটি ৬ ডোগরা ইউনিটে অতর্কিত হামলা সহ আরও বেশ কয়েকটি হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনীর এই অভিযানে বাধা দেওয়ার লক্ষ্যে এদিন দিনভর সক্রিয় ছিল ১২০০ থেকে ১৫০০ জনের একটি দল। রাতে যখন আটক হওয়া ওই ১২ জনকে নিয়ে ফিরছিলেন জওয়ানরা, তখন রীতিমতো অস্ত্র নিয়ে সেনার উপর চড়াও হন তাঁরা। নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন মহিলা। প্রবল চাপের মুখে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হতে পারে এই আশংকায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই গ্রেফতার হওয়া ১২ বন্দীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হল সেনা ।
মণিপুরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে মহিলাদের প্রতিরোধ উল্লেখযোগ্য। মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে কখনও সেনাবাহিনীর গাড়ি, কখনও সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল পিছু হটেছে। এ বারও সেনাদের হাত থেকে বন্দিদের ছাড়িয়ে আনার ক্ষেত্রেও নেতৃত্বে মহিলারাই ছিলেন ।এই সিদ্ধান্তের জন্য ভারতীয় সেনার তরফে ওই অভিযানেী নেতৃত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কম্যান্ডারের প্রশংসা করা হয়েছে । বলা হয়েছে ,‘ এই সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনীর মানবিক মুখ প্রতিফলিত হয়েছে ।’