বড়পর্দায় ‘এলএসডি’, সায়ন্তন ঘোষালের নতুন ছবি

কলকাতা,১৭ ডিসেম্বর — সোহমের এন্টারটেইনমেন্টের পরবর্তী ছবি ‘এলএসডি’র ঘোষণা করলেন পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। এলএসডি (লাল স্যুটকেসটা দেখেছেন) ছবিতে যে সকল তারকারা আছেন তাঁরা হলেন সোহম চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষ, কাঞ্চন মল্লিক, সুমিত সমাদ্দার, লাবনী সরকার, জুন মালিয়া, অভিজিৎ গুহ, সুভদ্রা মুখার্জি প্রমুখ। গল্প, চিত্রনাট্য, সংলাপে কলম ধরেছেন সায়ান দাশগুপ্ত। ছবিতে সঙ্গীত দিয়েছেন স্যাভি। সহযোগী পরিচালক শুভদীপ ঘোষ। চিত্রগ্রাহক রম্যদীপ সাহা। সম্পাদক শুভজিৎ সিংহ এবং শিল্প পরিচালক তাপস সরকার। ‘এলএসডি’ গল্প হল, ‘একটি লাল স্যুটকেসের ভিতরে থাকা লাশটির নিষ্পত্তি করা। এক রাতে বদলে যায় অনেকগুলো সাধারন গড়পড়তা জীবন। সম্ভ্রান্ত বাড়ির মেয়ে রুপসা তাঁর কলেজের সিনিয়র ত্রিনার সঙ্গে বিভিন্ন নেশা ট্রাই করত। সে একটা পালানোর রাস্তা খুঁজছিল রুক্ষ বাস্তব থেকে। হঠাৎ বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় ‘এলএসডি’ এর জন্য কলেজেরই ব্যাচমেট অমর্তকে যোগাযোগ করেন রূপসা। নিয়মের বেড়াজালে আটকা পড়েছিল অমর্ত্যর জীবন। এক রাতে ‘এলএসডি’ নেওয়ার যাত্রাপথে মিশে যায় একাধিক জীবন। রুপসা বুঝতে পারে, যে কোন নেশা এক অদ্ভুত প্যারাডক্স যা মানুষকে অন্ধকারের দিকেই নিয়ে যায়। রূপসা আর অমর্ত্য সেই রাতেই পুনঃ আবিষ্কার করেন নিজেদের আর নিজেদের ভালবাসাকে। বিভিন্ন মানুষের আকাঙ্ক্ষা আবেগ বেদনা মিশে যায় সেই রাতের যাত্রায়। তাঁদের উত্তোরিত করে। তাই রুপসা আর অমর্ত্য সেই রাত ভোর হওয়ার সময়ে সোচ্চারে বলেন, জীবনের মতো নেশা কিছুতে নেই। তাই প্রাণপণ দিয়ে বাঁচার মধ্যেই জীবনের সব রস খুঁজে পাওয়া যায়। যা কোন নেশা দ্রব্য দিতে পারেনা। তাই নেশা দ্রব্য ত্যাগ করে জীবনকেই গ্রহণ করে নিতে হয়।’
পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল জানালেন যে, ‘আমি দীর্ঘকাল ধরে এলএসডির সঙ্গে  সম্পর্কিত চলচ্চিত্রগুলির ঘরানার সন্ধান করতে চেয়েছিলাম। এটি একটি ডার্ক কমেডি চলচ্চিত্র,যা বাংলায় খুব বিরল একটি ঘরানা। চলচ্চিত্রটি আমার নায়কদের দুর্দশা নিয়ে, যেটিতে সোহম অভিনয় করেছেন। গল্পটি তাঁদের এক রাতের যাত্রা অনুসরণ করে, একের পর এক সমস্যা এড়াতে তাঁরা শহর জুড়ে ছুটে বেড়ায়। তাঁদের মূল লক্ষ্য হল একটি লাল স্যুটকেসের ভিতরে যে লাশটি তাঁরা বহন করছেন তার নিষ্পত্তি করা। যদিও গল্পটি অনেক রোমাঞ্চ, মোচড় এবং অপ্রত্যাশিত মোড় নিয়ে ভরা, আমার কাছে এটি মূলত একটি প্রেমের গল্প। এটি চরিত্রগুলির অভ্যন্তরীণ যাত্রা এবং তাঁরা কীভাবে মানুষ হিসাবে বিবর্তিত হয় সে সম্পর্কেও চিত্রগ্রহণ একটি কঠিন কিন্তু উপভোগ্য অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা ফিল্মের টোন হিসাবে চেষ্টা করছিলাম ফিল্মের সমস্ত দৃশ্য বাস্তব লোকেশনে শ্যুট করতে, কারণ আমি বিশ্বাস করেছিলাম যে তৈরী করা সেটগুলি সেই কাঁচা, বাস্তব, জঘন্য অনুভূতিকে ফুটিয়ে তুলতে পারবে না। পাবলিক টয়লেট থেকে পতিতালয় পর্যন্ত সব লোকেশনে আমরা শ্যুট করেছি। জনপ্রিয় মূলধারার তারকা সোহমের এক ঝলক দেখতে ভিড় জমাতেন বহু মানুষ। আমি খুশি যে সোহমের মতো একজন জনপ্রিয় তারকাও এলএসডি-র মতো ছবির প্রযোজক হিসেবে এগিয়ে এসেছেন। সায়নির সঙ্গে কাজ করার দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। তিনি একজন ভাল শিল্পী এবং ততটাই নম্র। যারা এজ-অফ-দ্য-সিট স্টাফ পছন্দ করেন তাঁরা ছবিটি উপভোগ করবেন, যেটি নিঃসন্দেহে এখন পর্যন্ত আমার সবচেয়ে উপভোগ্য সিনেমা তৈরির অভিজ্ঞতাগুলির মধ্যে একটি।’