প্রশ্নই নেই লোকসভা ভোট এগোনোর, দাবি বিজেপির 

দিল্লি, ৩০ আগস্ট-– আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচন আগে-ভাগেই হয়ে যেতে পারে। এ নিয়ে জোর জল্পনা বিরোধী শিবিরগুলিই। ভোট এগিয়ে আনা হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। কিন্তু বিরোধী শিবিরের দুই প্রধান মুখের আশঙ্কা এক বাক্যে উড়িয়ে দিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের শীর্ষকর্তারা বলছেন, তার সম্ভাবনা নেই। মোদি সরকারের এক শীর্ষব্যক্তির মন্তব্য, ‘মোদির আমলে কোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনও এক দিনের জন্য এগিয়ে আনা হয়নি। এখনও পর্যন্ত লোকসভা ভোটও এগিয়ে আনার সম্ভাবনা নেই।’   মোদি সরকারের কর্তাব্যক্তিদের পাল্টা যুক্তি, চলতি বছরের নভেম্বরে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানার মতো রাজ্যে বিধানসভা ভোট। বিজেপি এই রাজ্যগুলিতে দুর্দান্ত ফল করবে, এমন সম্ভাবনা কম। তাই এই রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক পরে পরেই লোকসভা নির্বাচন ডাকার কোনও রাজনৈতিক যুক্তিও নেই।

২০১৯-এ লোকসভা ভোট ঘোষণা হয়েছিল ১০ মার্চ। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে— সাত দফায় ভোটগ্রহণ হয়ে ২৩ মে ফল ঘোষণা হয়েছিল।

সোমবার মেয়ো রোডের জনসভায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে লোকসভা নির্বাচন করানো হতে পারে। এ বিষয়ে বিজেপিকে বিশ্বাস নেই বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।  মঙ্গলবার মমতার কথাকেই সমর্থন করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, ‘‘লোকসভা ভোট আগেভাগে হয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচন করাতে পারে। গত সাত-আট মাস ধরে আমি এই কথাটা বলছি। তাই আমাদের এককাট্টা থাকতে হবে।’’


বিরোধী শিবিরের ইন্ডিয়া জোটের দুই প্রধান মুখ লোকসভা ভোট এগিয়ে আনার আশঙ্কা প্রকাশ করলেও মোদি সরকারের তরফে ইঙ্গিত মিলছে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে নানা রকম সরকারি কর্মসূচি চলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রী মঙ্গলবার বলেন, ‘‘২০২৪-এর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধন হবে। তার পরে ধূমধাম করে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালন হবে। জানুয়ারির শেষে প্রাক্-নির্বাচনী বাজেট পেশ হবে। প্রত্যাশিত ভাবেই বাজেট ভোটমুখী হবে। তার পরে আরও কিছু চমক বাকি থাকবে। আমাদের কোনও তাড়াহুড়ো নেই।’