দিল্লি, ৯ ডিসেম্বর– হিন্দিতে জোর দেওয়া হয়েছে আগেই। কিন্তু এবার আঞ্চলিক ভাষার দিকেও নজর দিতে শুরু করেছে কেন্দ্র। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ পাঠ্যবই ইংরাজিতে। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে ছাত্রছাত্রীরা স্নাতক স্তরের বিজ্ঞান, বাণিজ্য, কলা বিভাগের বিষয়গুলি আঞ্চলিক ভাষায় বই পেতে পারে, সেজন্য একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন ইউজিসির পদস্থ আধিকারিকরা।
ওই বৈঠকে ছিলেন ইউজিসির চেয়ারপার্সন এম জগদীশ কুমার। স্নাতক স্তরের ইংরেজি বইগুলি যাতে তেলুগু, বাংলা, মারাঠি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি ভাষায় অনুবাদ করে দ্রুত পাঠ্যবইগুলি ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ভারচুয়াল বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি, স্নাতকোত্তর স্তরের ক্ষেত্রেও যাতে আঞ্চলিক ভাষায় বইগুলি পাওয়া যায়, সে ব্যাপারেও বৈঠকে কথা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরেই মধ্যপ্রদেশে হিন্দি ভাষায় লেখা ডাক্তারি বই প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । সেই সময়ই তাঁকে বলতে শোনা যায়, “দেশের শিক্ষাক্ষেত্রের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। আগামিদিনে যখনই ইতিহাস লেখা হবে, আজকের দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান দেশের প্রথম বার হিন্দিতে ডাক্তারি পড়ানো শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়েছেন। জাতীয় শিক্ষা নীতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদি মাতৃভাষায় শিক্ষায় বিশেষ জোর দিয়েছেন। এটা একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।”