মাইগ্রেন এমন একটি অসুখ যেটিতে বেশিরভাগ কোন ওষুধ কাজ করে না বলেই চলে। ক্ষনিকের জন্য ব্যাথার উপশম ঘটলেও তা চিরস্থায়ী উপশম দেয় না ,মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকের কোনো কোনো দিনকে অসহ্য করে তোলে। মাথার কোনো এক পাশে প্রচণ্ড ব্যথা, বমি ভাব বা বমি, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি সমস্যা এ সময় মানুষকে প্রায় শয্যাশায়ী করে ফেলে। মাইগ্রেনের ব্যথার আকস্মিক আক্রমণের জন্য কিছু বিষয় কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু খাবারদাবার, যা এই ব্যথাকে বাড়িয়ে
অপর্যাপ্ত জল খাওয়ার কারণে সৃষ্ট ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতা এবং দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে রক্তে শর্করা কমে যাওয়া মাইগ্রেনের ব্যথাকে আমন্ত্রণ জানায়। এ ছাড়া নিয়াসিন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাব ঘটলে এবং রক্তস্বল্পতার কারণেও মাথাব্যথা বাড়ে।
ব্যথার তীব্রতা কমাতে ট্রিপটোফেন-জাতীয় খাবার বেশ সুফল বয়ে আনে। লাল চাল, খেজুর, কিশমিশ, দুধ, দই, ডিম, শিম, বাদাম, ডুমুর, সবুজ ও কমলা রঙের সবজি, কলাসহ নানা ধরনের ফল নিয়মিত খাওয়া উচিত তাঁদের। ভেষজ চা, বিশেষ করে আদা-চা ও পুদিনা-চা মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
কিছু খাবার মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর , যেমন: চকলেট, পাউরুটি, কেক পেস্ট্রি, রং দেওয়া খাবার, সংরক্ষিত খাবার, আচার বা সস ও ময়দা-চিনির খাবার। মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা টেস্টিং সল্ট ব্যথা বাড়ায়।