তৃণমূলের দুই নেতার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার বর্ধমানের নেতারা

আসানসোল,১ ফেব্রুয়ারী — তৃণমূল নেতাদের তোলাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়েউঠেছেন জামালপুরের জনপ্রতিনিধিরা। দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে  মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন জামালপুরের জনপ্রতিনিধিরা ।তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়ানো ও লুন্ঠনের অভিযোগ এনেছেন তারা। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ পাল এবং বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য আব্দুস সালাম সহ-অন্য সদস্যরা অভিযোগের প্রতিলিপি রাজ্য প্রশাসনের একাধিক কর্তার কাছেও পাঠিয়েছেন ।

এই ঘটনায় উঠে আসছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বও। যে দুই নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ, তাঁদের একজন বেরুগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ফিরোজ শেখ। অপরজন একই পঞ্চায়েতের সদস্য তথা বেরুগ্রাম অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সাহাবুদ্দিন শেখ ওরফে দানি। অভিযোগ, ওই দুই নেতা বালি মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দামোদর থেকে বালি লুঠ করছে। তাছাড়া গাছ কাটা, আবাস যোজনার উপভোক্তাদের থেকে কাটমানি নেওয়া, স্কুলের জমি আত্মসাৎ করা প্রভৃতি নানা অভিযোগও রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

এই দুই নেতাই অবশ্য মঙ্গলবার দাবি করেছেন, সবটাই চক্রান্ত। অভিযোগ তো করা হয়েছে বেশ কয়েকমাস আগে। অভিযোগের যদি সত্যতা থাকত তাহলে প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত। এই দুই নেতার অনুগামীরা বলেন, “সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনে যাঁরা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোটাভুটিতে গিয়েছিল তাঁরাই এই সব অভিযোগ করছেন।”


মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো পাঁচ পাতার চিঠিতে মোট ১২ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। ওই চিঠিতে একাধিক অনুচ্ছেদে দুই তৃণমূল নেতা ফিরোজ ও দানির নামে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, মেহেমুদ খাঁন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হবার পর থেকেই এই দুই তৃণমূল নেতার ‘দৌরাত্ম্য’ চরমে পৌঁছেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দুই নেতার সন্ত্রাস।

২ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান সফরে আসছেন। তার আগে দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে এমন সব বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় যথেষ্টই বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছেন ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়াননি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মেহেমুদ খান। তিনি বলেন, “প্রশাসন অভিযোগের তদন্ত করবে। দোষ প্রমাণিত হলে নিশ্চই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে দল দোষীদের পাশে থাকবে না।”