শারীরিক সম্পর্কের বয়েস কমাতে অসম্মতি আইন কমিশনের 

দিল্লি, ২৯ সেপ্টেম্বর– শারীরিক সম্পকের ক্ষেত্রে বর্তমান বয়েস কমানো নিয়ে দাবি উঠেছিল। বলা হচ্ছিল পসকো আইন অনুযায়ী শারীরিক সম্পর্কে সম্মতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর কমিয়ে দেওয়া হোক। সেই সব দাবির পিছনে তর্ক সঙ্গত যুক্তিও রয়েছে। কিন্তু আইন কমিশন বরং সরকারের কাছে তারা সুপারিশ পেশ করে জানিয়ে দিল ন্যূনতম বয়স বর্তমানের তুলনায় কমানো ঠিক হবে না।

আইন কমিশনের মতে, ন্যূনতম বয়স কমানো হলে তার নেতিবাচক প্রভাব বাল্য বিবাহ বন্ধে লড়াইয়ের উপর পড়বে। সেই সঙ্গে শিশু পাচারের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তার উপরেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

কোনও নাবালক বা নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে প্রোটেকশন অফ চাইল্ড ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সের আইনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেখানে বয়সের ব্যাপারটি সুনির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কমিটি এই সুপারিশ করেছে যে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সি নাবালিকা বা নাবালক শারীরিক সম্পর্কে প্রকারান্তরে সম্মতি দিয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুযায়ী অবস্থান নেওয়া যেতে পারে। রায় ঘোষণার সময়ে এক্ষেত্রে বিচারক বা বিচারপতির ওই বিষয়টা বিবেচনা করে দেখতে পারেন।


রিতু রাজের নেতৃত্বে আইন কমিশনের ওই প্যানেল দুটি রিপোর্ট কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে পেশ করেছে। একটি পসকো আইনে ন্যূনতম বয়স সংক্রান্ত, অন্যটি এফআইআর দায়েরের বিষয়ে।

তবে ন্যূনতম বয়সের বিষয়টি নিয়ে একটা জোরদার বিতর্ক দেশজুড়ে চলছে। গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে উচ্চ আদালতে বেশ কিছু মামলা আসছে, যেখানে টিন এজারদের মধ্যে সম্নতিতেই শারীরিক সম্পর্ক ঘটছে। আবার সেটাকেই পরে অপরাধের ঘটনা বলে পসকো আইনে সাজা দেওয়া হচ্ছে। এই বিড়ম্বনার ব্যাপারটা লাগাতার ঘটতে থাকায় তা আইন কমিশনের নজরে আনা হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় গত বছর ডিসেম্বর মাসে এই বিষয়টি আইন কমিশনকে খতিয়ে দেখতে বলেন। কিন্তু কমিশন এখনই ন্যূনতম বয়স কমানোর পক্ষে নয়।