গ্যাংটক, ১৭ জুন– দুই আলাদা চিত্র উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। একদিকে গরম আর চূড়ান্ত আপেক্ষিক আর্দ্রতার জেরে প্রাণ যায়-যায় অবস্থা দক্ষিণবঙ্গে। অপরদিকে উত্তরদিকে প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমেছে। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, প্রবল বৃষ্টিতে জনজীবন ব্যাহত সিকিমেও। ইতিমধ্যেই ধস নেমেছে সিকিমের একাধিক অংশে । তার সঙ্গে ফুঁসছে নদীগুলিও। ধসের সঙ্গেই কার্যত বন্যা পরিস্থিতি সেখানে। সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই প্রায় ২ হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন বলে খবর মিলেছে, যার মধ্যে বাংলার বহু মানুষ রয়েছেন। ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলেছে সিকিমের বিভিন্ন অংশে। তার জেরেই ধস নেমেছে উত্তর সিকিম সহ রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায়। হড়পা বান এবং ধসের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাচুং, লাচেন, ইয়ুমথাং ভ্যালি সহ একাধিক জনপ্রিয় পর্যটনস্থল বাকি এলাকা থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র উত্তর সিকিমেই বিদেশি পর্যটক সহ অন্তত ২০০০ জন পর্যটক আটকে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
উত্তর সিকিম হাইওয়ে, জেএন মার্গ, গ্যাংটক-মঙ্গন রোড, সিংথাম, গেজিং এবং পাকইয়ং-রোলেপ যাওয়ার রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। জওহরলাল নেহরু মার্গে ধস নামায় ছাঙ্গু লেক, নাথু-লা পাস এবং বাবা মন্দির যাওয়ার রাস্তা বন্ধ বলে জানা গেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু বৃষ্টির জন্য সেই কাজও ব্যাহত হচ্ছে বলে খবর। তিস্তা, রঙ্গিত সহ একাধিক নদী প্রবল জলচ্ছ্বাসে রীতিমতো ফুঁসছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম সিকিমের রিম্বি নদীর জলস্রোতে ভেসে গিয়ে ৯০ বছর বয়সি একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
জানা গেছে, এই পর্যটকদের মধ্যে ৩৬ জন বিদেশি এবং ১,৯৭৫ জন ভারতীয় রয়েছেন। এই ৩৬ জনের মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশের বাসিন্দা, ১০ জন মার্কিন নাগরিক এবং সিঙ্গাপুরের ৩ জন পর্যটক রয়েছেন। ৩৪৫টি চারচাকা গাড়ি এবং ১১টি মোটরসাইকেলও বিভিন্ন রাস্তায় আটকে রয়েছে বলে খবর।