চব্বিশের পর বিদেশে পালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে মোদি: লালু

পাটনা, ৩১জুলাই– বর্তমানে গোটা দেশ উত্তাল মণিপুর থেকে বঙ্গ ভোটে হিংসা নিয়ে। অন্যদিকে ২০২৪ এ মোদিকে উৎখাত করতে বিরোধীদের জোট তো আছেই। সেই লক্ষ্যে বিরোধীরা তৈরী ‘ইন্ডিয়া’ নিয়ে। সেই  ইন্ডিয়াকে নিয়ে অবশ্য কটূক্তি করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, চব্বিশের ভোটের আগে স্লোগান তোলা উচিত দুর্নীতিবাজরা ‘ভারত ছাড়ো’। ইন্ডিয়া নাম নিয়ে চাপের মুখে পড়ে কখনও জোটের নামের সঙ্গে জেহাদি সংগঠনের নামের তুলনা টানছেন প্রধানমন্ত্রী। কখনও আবার বিজেপির নেতারা বোঝাতে চাইছেন ইন্ডিয়া নামটাই ঔপনিবেশিক।

তবে এই পাল্টা তর্ক-বিতর্কের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব বলেছেন, “লোকসভা ভোটের পর মোদিই পালানোর কথা ভাবছে। এই কারণেই উনি এত দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আসলে মোদি খুঁজে দেখতে চাইছে, কোথায় গিয়ে আরামে থাকা যাবে। কোথায় গেলে পায়ের উপর পা তুলে মোমো, পিৎজা, চাউমিন খাওয়া যাবে।”

বিরোধী জোটের অন্যতম শরিক দল লালু প্রসাদের আরজেডি। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে চার্জশিট পেশ করে রেখেছে ইডি। শুধু তাই নয়, লালুর বিরুদ্ধে সেই দুর্নীতির অভিযোগ রাজনৈতিক ভাবে হাতিয়ার করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্র নিয়ে বার বার খোঁচা দিচ্ছে তাঁদের।


এহেন পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছেন লালু ও তাঁর ছেলে পাল্টা আক্রমণাত্মক হয়েছেন। বিহারে এবার ২০১৫ সালের মতই সমীকরণ তৈরি হয়েছে। ওই ভোটে লালু-নীতীশ ও কংগ্রেসের জোট হয়েছিল। সেই জোটের সমীকরণ এতটাই মজবুত ছিল যে তারা দুই তৃতীয়াংশ আসন জিতে নিয়েছিল। বিহার থেকে লোকসভায় বিজেপির ভাল সংখ্যায় আসন ছিল। গেরুয়া শিবিরে উদ্বেগ হল, লালু-নীতীশের জোটের পরিস্থিতিতে বিজেপি বিহারে প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হতে পারে। শুধু বিহার নয়, এর আঁচ পড়তে পারে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও।