জামিন পেলেন লালু প্রসাদ যাদব , লালু-পত্নী -কন্যা সহ অন্যান্যরা  

দিল্লি, ১৫ মার্চ – স্বস্তি মিললো লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবারের। সিবিআই আদালতে দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন লালু, লালু-পত্নী রাবড়ি দেবী , তাঁদের কন্যা মিসা ভারতী-সহ বাকি অভিযুক্তরা। রেলের চাকরি বিক্রি মামলায় বুধবার এই তিন জনকেই তলব করা হয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। মাথাপিছু পঞ্চাশ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন দিল্লির সিবিআই আদালতের বিচারক।পরবর্তী শুনানি হবে ২৯ মার্চ। সিবিআই সূত্রে খবর, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য, জেরায় লালু প্রসাদরা অসহযোগিতা করেছেন। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা দরকার।

অসুস্থ লালুপ্রসাদ বুধবার সশরীরে আদালতে হাজির হন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাবড়ি। সিবিআইয়ের অভিযোগ, রেলমন্ত্রী থাকার সময় লালুপ্রসাদ জমির বিনিময়ে বহু লোককে চাকরি দিয়েছেন। চড়া দামের জমি স্বল্প মূল্যে কিনে নিয়েছেন রাবড়ি, মিসা সহ লালুপ্রসাদের ঘনিষ্ঠরা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এই মুহূর্তে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও।  ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ওই নিয়োগ দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। যদিও এই নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়নি চাকরি। লালু তখন দেশের রেলমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়েই লালু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা রেলের চাকরি বিক্রি করেছিলেন বলে অভিযোগ। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তাদের চার্জশিটে জানিয়েছিল, টাকা নয়, চাকরির বদলে জমি নিয়েছিলেন লালু। সেই জমি কখনও তাঁকে বা তাঁর পরিবারকে উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা বা তাঁদের আত্মীয়রা। কখনও বা পঞ্চাশ শতাংশেরও কম দামে বিক্রিও করেছিলেন। সেই মামলারই শুনানি হল বুধবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। সকন্যা লালু-রাবড়ী ছাড়াও আরও ১৪ জনকে হাজির থাকতে বলা হয়। বুধবার সেই মামলাতেই সপরিবারে লালুকে জামিন দেওয়া হল।

বিহারের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের খবরে রাজ্যের শাসক শিবিরে সাময়িক স্বস্তি পেল এদিন লালুদের জামিনের খবরে কার্যতই ‘উৎসব’ শুরু করে দেন আরজেডি বিধায়করা। বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের জোর করে লাড্ডু খাওয়ানো ও লাড্ডু ছুঁড়ে মারার অভিযোগও ওঠে লালুর দলের বিধায়কদের বিরুদ্ধে।