বিহারে আসন সমঝোতায় ইন্ডিয়া ‘জট’ মেটাতে মুশকিল আসান লালু নয়া!

পটনা, ১৪ অক্টোবর– দিল্লি থেকে বিজেপি হটাও স্লোগান নিয়ে যে ‘ইন্ডিয়া’ জোট তৈরি হয়েছিল৷ তারপর থেকেই তাতে সামিল দলগুলি নিজেদের আসন ভাগাভাগি নিয়ে অবস্থান নিয়ে জোটে ভাঙন দেখা দিতে শুরু করে৷ বিশেষ করে দিল্লি, পাঞ্জাব, কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গে তো সমস্যা ছিলই৷ রাজনৈতিক মহলের খবর, এবার বিহারেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে গিয়ে জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ শিবির৷ বিহারে ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক নীতীশ কুমারের দল জেডি(ইউ)-এর সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে কংগ্রেস, দাবি হাত শিবিরের৷
বিহারো কংগ্রেসের তরফে প্রদেশ সভাপতি অখিলেশ প্রসাদ সিং নিজেদের জন্য ১১-১২টি আসনের দাবি জানিয়েছেন৷ আর এখানেই গোল বেধেছে৷ কারণ অখিলেশের এই দাবি নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ) বা লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি-র কোনও শীর্ষ স্থানীয় প্রতিনিধিই মেনে নিতে পারছেন না৷ বিহারে ব্যাকফুটে থাকা কংগ্রেসের এই দাবি নিয়েই এখন তুঙ্গে আলোচনা
তবে বিহারের ক্ষেত্রে মুশকিল আসান হয়ে আসরে নেমেছেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব৷ বিহারের আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা কেমন হবে, তা স্থির করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা গ্রহণ করতে দেখা যেতে পারে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবকেই, নয়াদিল্লিতে দাবি করা হয়েছে কংগ্রেস সূত্রে৷ লালুপ্রসাদ ও তাঁর পুত্র বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির ব্যক্তিগত সম্পর্ক বেশ ভালো৷
লালুকে যে কংগ্রেস হাইকমান্ড বেশ গুরুত্ব দিয়েই বিচার করছে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে কিছুদিন আগেই লালুর মেয়ে মিশা ভারতীর দিল্লির বাসভবনে হাজির হয়ে লালু-তেজস্বীর সামনেই ‘চম্পারণ মাটন’ রান্না করেছিলেন রাহুল গান্ধি৷  এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল৷
কংগ্রেস শিবির সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে রাহুলের ব্যক্তিগত যে সুসম্পর্ক আছে তা বিহারের আসন ভাগাভাগিতে অনেক কাজে আসতে পারে বলেই ভাবছে কংগ্রেস৷