লেহ, ৮ অক্টোবর – ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এবং লাদাখ পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পর গত বুধবার প্রথম ভোট হয় লাদাখে। রবিবার লাদাখ হিল কাউন্সিলের ভোটের গণনা হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে লাদাখ কাউন্সিল ভোটে জয়ী হল ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টি-কংগ্রেস জোট। পরাজিত হল বিজেপি ।
এদিন সন্ধ্যাতেই ২৬ আসন বিশিষ্ট লাদাখ হিল কাউন্সিলের মধ্যে ২১টি আসনের গণনা সম্পূর্ণ হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ১৮টি আসন পেয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট। যার মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স পেয়েছে ১০টি আসন এবং ৮টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। আর বিজেপির পক্ষে পড়েছে মাত্র ২টি আসন। নির্দল পেয়েছে ১টি আসন। এখনও ৫টি আসনের গণনা বাকি থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস জোট।
লোকসভা নির্বাচনের আগে লাদাখ হিল কাউন্সিল নির্বাচনের এই ফলাফল কেন্দ্রের শাসক ও বিরোধী- উভয় পক্ষের কাছেই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বিজেপির পরাজয়ের জন্য লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা দায়ী বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ ভোটারদের অধিকাংশই জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে লাদাখের সংযুক্তি চাইছেন। তাঁদের কথায়, “পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় আমরা কিছুই পাইনি। আমাদের সন্তানেরা কর্মহীন রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, লাদাখ হিল কাউন্সিল নির্বাচনের প্রচারে জম্মু-কাশ্মীর থেকে এই অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার ইস্যুর উপরই জোর দিয়েছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। ভোটারদের প্রতি আবেদন জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, “এনডিএ সরকারের ২০১৯ সালের ৫ অগস্টের সিদ্ধান্ত বাতিল নাকি গ্রহণ করবেন, তার স্পষ্ট বার্তা দিন।” সেই বার্তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল ভোটের ফলাফলে।