বিবাদের সূত্রপাত, নীতীশের এক ঘোষণাকে ঘিরে। মাস তিনেক আগে বিধায়ক দলের বৈঠকে নীতীশ বলেন, ২০২৫-এ বিহার বিধানসভার নির্বাচনে মহাজোটের নেতৃত্ব দেবেন তেজস্বী যাদব। অর্থাৎ লালুপ্রসাদ
পুত্র তথা আরজেডি নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে ভোটে লড়বে মহাজোট, স্পষ্ট করে দেন নীতীশ। আর এরপরই নিজের দলের নেতাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন নীতিশ।
লালুপ্রসাদের চাপের মুখে এমন ঘোষণা করা মাত্র নিজের দলে প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন নীতীশ। আর বিজেপি এমন পরিস্থিতিরই অপেক্ষায় ছিল। তাদের মনোবাসনা পূর্ণ করতে এগিয়ে আসেন কুশওয়া। নীতীশের ঘোষণায় বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এই প্রবীণ নেতা।
আশ্চর্যের হল, কুশওয়া জেডিইউতে নীতীশের লোক বলে পরিচিত ছিলেন। সেই ঘনিষ্ঠতার সুবাদে তিনি জেডিইউ র সংসদীয় পার্টির সভাপতি হন। যদিও নিজে বিহার বিধান পরিষদের সদস্য। সেই কুশওয়া নীতীশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করায় তাঁর পিছনে বিজেপির উসকানি রয়েছে বলে অভিযোগ করছে নীতীশ শিবির।
গতবছর অগাস্টে নীতীশ বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে লালুপ্রসাদের হাত ধরার পর পদ্ম শিবির ঘোষণা করে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে রাজনৈতিকভাবে নিঃস্ব করে ছাড়বে তারা। আজ কুশওয়ার নতুন দল ঘোষণা পদ্ম শিবিরের সংকল্প অনেকটা পূরণ হবে সন্দেহ নেই।