২৮ মে —শালবনীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে যে হামলার ঘটনা ঘটেছিল তাতে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির কাচ চুরমার করে দিয়েছিল কুড়মি আন্দোলনকারীদের একাংশ। সেই ঘটনায় ধরপাকড় শুরু হয় ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের তরফে। চার জনকে আটকও করা হয় তার পরেই। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, পুলিশের উপর হামলা, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। এর পরে কুরমি নেতা রাজেশ মাহাতকে রাতারাতি বদলি করে দেওয়া হয় ।রাজেশ মাহাতো নামের ওই শিক্ষকের পোস্টিং ছিল খড়গপুরে। তাঁকে পাঠানো হয়েছে সুদূর কোচবিহারে।
যদিও এটি একেবারেই রুটিন বদলি বলে দাবি করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে। এমনকি, শুক্রবার সকালেই নাকি কুড়মি নেতা তথা শিক্ষক রাজেশ মাহাতোকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলেও খবর মিলেছে একটি সূত্রে।এই ঘটনায় টুইটও করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি লেখেন, এটা প্রতিহিংসা। দমনপীড়নের রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে মানুষকে।
তবে গতকালের ঘটনায় বিজেপির ইন্ধন আছে বলেও দাবি করেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘জয়শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে যেভাবে হামলা হয়েছে তাতেই বোঝা যাচ্ছে কারা আছে।
এবার এই ঘটনার সঙ্গেই জড়িয়ে গেল শিক্ষক নেতাকে বদলির নির্দেশ। খড়্গপুরের বানাপুরের একটা হাইস্কুলে ইংরেজি পড়াতেন রাজেশ। সেই রাজেশকেই বদলি করা হল কোচবিহারের চামটা আদর্শ হাই স্কুলে। তবে জানা গেছে, শুক্রবার সকালেই তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাঁকে পুরনো স্কুল ছাড়তে হবে, তিন দিনের মধ্যে যোগ দিতে হবে নতুন স্কুলে। এমন নির্দেশ দেখে অনেকেই অবাক।