কলকাতা, ২ জুলাই – বিজেপির নির্বাচনী সভায় অসুস্থ হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ । এই ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাায়িত্বজ্ঞান নিয়ে পর্ষন তুললেন কুণাল। শুভেন্দুর সভায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় ৬৮ বছরের এক বৃদ্ধের । তাঁর নাম হারাধন বিশ্বাস । এই ধরণার পর তপ্ত হয়ে ওঠে মতুয়া অধ্যুষিত গাইঘাটা।
বিরোধী দলনেতার ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’ এবং উদাসীন মানসিকতা’ নিয়ে টুইটে কড়া সমালোচনা করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। গত বছরের ডিসেম্বরে আসানসোলে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনারও উল্লেথ করেছেন কুণাল। গত বছরের ওই সভায় কম্বল বিতরণ করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ।
টুইটে কুণাল ঘোষের অভিযোগ, এই ঘটনা সম্পূর্ণভাবে শুভেন্দু অধিকারীর উদাসীনতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। তিনি আগেই জানতেন যে প্রচন্ড গরম আর তৃষ্ণায় ওই বৃদ্ধ মানুষ অসুস্থ বোধ করছেন এবং সভা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেননি । এরপর অসুস্থ অবস্থাতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তিনি পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
শনিবার গাইঘাটার ওই সভায় এমন দুর্ঘটনার পর বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা বিরোধী দলনেতাকে হাসপাতালে যাওয়ার দাবি তোলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তাতে কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। তিনি হাসপাতাল বা মৃত কর্মীর বাড়ি কোথাও না গিয়ে সটান সভাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যান। আর এরপরই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ৷ কেন শুভেন্দু একবারের জন্যেও হাসপাতালে যেকে পারলেন না সেই প্রশ্ন ওঠে। মৃতের পরিবারও শুভেন্দু অধিকারীর এই ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ বলে শোনা যায়। কীভাবে ও কেন হারাধন বিশ্বাসের মৃত্যু হল , তা নিয়ে যথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন তাঁরা।