জেনে নিন নিয়মিত ওটস খাওয়ায় গুনাগুন।

কলকাতা:- অনেকে নানা উপায়ে রোগা হওয়ার জন্য চেষ্টা করে চলেছেন। তার জন্য নানা ডায়েটও করেন। আর যার মধ্যে ইদানিং ওটস খাওয়ার ব্যাপারটা সবার ফেভারিট৷ কারণ, ওটস খেতেও ভালো, আবার পেটও ভর্তি রাখে ৷ এবং এমন পুষ্টিগুণ আছে, যা শরীরে মেদ জমাতে দেয় না ৷ ওটসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, লৌহ, প্রোটিন, ভিটামিন বি রয়েছে। বিশেষত ওটসে রয়েছে ভিটামিন বি ১ যা শরীরে কার্বোহাইড্রেট হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া প্রতি গ্রাম ওটসে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, থিয়ামিন, ভিটামিন ই ইত্যাদি। যা অন্যান্য শস্যজাতীয় খাবারের তুলনায় বেশি। ওটসে প্রাকৃতিকভাবে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। তাছাড়াও রয়েছে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড। ওটসে রয়েছে বেটা গ্লুকান নামক বিশেষ ধরনের ফাইবার যা শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন তিন গ্রাম ওটস খেলে তা প্রায় আট থেকে ২৩ শতাংশ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ওটসে বিশেষ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা এলডিএল কোলেস্টেরলের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমায়। আর এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কারণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। ওটসের বেটা-গ্লুকান শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরে ব্যাক্টেরিয়া জনিত ইনফেকশন রোধেও সাহায্য করে। তাছাড়া ডায়বেটিসের ক্ষেত্রেও উপকারি। দিনের শুরুতে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপযোগী খাবার খেয়ে দিন শুরু করলে তা সারাদিন রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য ওটস দারুণ উপকারী। ওটস খাওয়ার পর দীর্ঘসময় পেট ভরা ভাব অনুভূত হয়। ফলে অনেকটা সময় খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।