অনেকের মতে, কিরেন রিজুজুকে আইন মন্ত্রক থেকে সরিয়ে সম্ভবত বার্তা দিতে চাইল মোদী সরকার। সেই পদে আনা হল তুলনায় নরমপন্থী অর্জুন রাম মেঘওয়ালকে। বর্তমানে অর্জুন মেঘলওয়াল হলেন সংসদ বিষয়ক ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। তাঁকে আইন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
একটু পিছনে তাকালে দেখা যাবে আইনমন্ত্রী হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে ধারাবাহিক সংঘাতে জড়িয়েছিলেন কিরেন রিজুজু। এমন নয় যে তা কিরেনের একার সিদ্ধান্ত ছিল। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছিল বর্তমান শাসকদলই। কিন্তু কিরেন হয়ে উঠেছিল তার মুখ। অনেকের মতে, সেই সংঘাতের পর কেন্দ্রের সরকার নিয়েও কঠোর অবস্থান নিয়ে চলছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সাম্প্রতিক কিছু পর্যবেক্ষণ ও রায়ে তাঁর প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। এমনকি দু’দিন আগে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে পষ্টাপষ্টি জানিয়েছেন, যেন ভয়ের বাতাবরণ তৈরি না করে ইডি।
কিরেন রিজুজু অরুনাচল প্রদেশের সাংসদ। কথাবার্তায় ক্ষুরধার। সেই সঙ্গে উদ্যমীও বটে। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার লোকসভা ভোটে জেতার পর কিরেন ক্রমশ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সুনজরে পড়েন। ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদী জমানায় কিরেনকে প্রথমে যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার পর আইন মন্ত্রী পদে তাঁর পদোন্নতি হতেই অনেকে কিছুটা বিস্মিত হন। বোঝা যায় মোদী-শাহর আস্থাভাজন বৃত্তে ঢুকে পড়েছেন তিনি। কারণ, আইন মন্ত্রীর দায়িত্ব অনেক বড়। আপাত দৃষ্টিতে তা বোঝা যায় না অনেক সময়ে। কিন্তু বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখে চলতে হয়। সুসম্পর্কও বজায় রাখতে হয়। কিন্তু পরিবর্তে কিরেন সংঘাতের মুখে পরিণত হয়েছিলেন। এমনকী সর্বোচ্চ আদালতের ক্ষমতা নিয়ে তাঁর কিছু মন্তব্যে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল।