• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

কংগ্রেস ছাড়ার পর বিজেপিতে যোগ দিলেন কিরণ কুমার রেড্ডি

দিল্লি, ৭ এপ্রিল – বিজেপিতে যোগ দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি। অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান বিজেপি নেতা তথা সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দেন এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি। তার পরের দিনই অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিলেন বিজেপিতে। বিজেপিতে যোগ দিয়েই 

দিল্লি, ৭ এপ্রিল – বিজেপিতে যোগ দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি। অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান বিজেপি নেতা তথা সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দেন এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি। তার পরের দিনই অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিলেন বিজেপিতে। বিজেপিতে যোগ দিয়েই  প্রাক্তন দল সম্পর্কে একরাশ হতাশা ও ক্ষোভ ব্যক্ত করেন কিরণ রেড্ডি ।
আগামী বছর অন্ধ্রে বিধানসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের এই প্রাক্তন নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় অন্ধ্রপ্রদেশে শক্তি বাড়ল গেরুয়া শিবিরের। ২০২৩ সালের মার্চে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে কংগ্রেস ছাড়েন কিরণ। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কিরণ রেড্ডি। ২০১৪ সালে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা গঠন করে। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে সেই সময় কংগ্রেস ছাড়েন কিরণ।  এর পর ‘জয় সামাইকান্ধারা’ নামে একটি দল গঠন করেন। কিন্তু ২০১৪ সালের ভোটে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয় এই দল। দল থেকে এক প্রকার স্বেচ্ছাবসর নেওয়া কিরণ ২০১৮ সালে আবার কংগ্রেসে ফিরে আসেন। কিন্তু অন্ধ্র বিভাজনের পর রাজ্যে কংগ্রেস প্রায় প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়। দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন কিরণও। কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে গত মাসে কংগ্রেস ত্যাগ করেন।

দিল্লিতে বিজেপি সদর দফতরে যোগদান অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কিরণ রেড্ডি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশেও তোপ দাগেন, বলেন, “কখনও ভাবিনি কংগ্রেস ছাড়তে হবে। কিন্তু কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব পরিশ্রমবিমুখ। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে হাইকমান্ড আলোচনাও করে না। মনে করে, তাঁরাই ঠিক বলে মনে করেন তাঁরা। সব রাজ্যেই কংগ্রেস ভেঙে পড়ছে। কিন্তু হাইকমান্ড কোনও মতামত নেয় না। যোগাযোগ রাখে না।

অন্ধ্র প্রদেশে বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস। তাঁদের সঙ্গে লড়াই মূলত তেলুগু দেশম পার্টির। বিজেপি সে রাজ্যে অনেকটাই দুর্বল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যেও নিজেদের শক্তি বাড়াতে সচেষ্ট মোদি-শাহরা। কিরণের যোগদান তাতে বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।