দিল্লি, ১ অক্টোবর– রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের উদ্দেশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাহুল বলেছিলেন, ‘এক ব্যক্তি, এক পদেই থাকবেন।’ তারপর রাজস্থান সঙ্কট, বিদ্রোহ, গেহলটের দলের সভাপতি হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া, সনিয়া গান্ধীর কাছে ক্ষমা চাওয়া—সব চলেছে।মোটামুটি সবাই যখন জেনে গিয়েছিল অশোক গেহলট কংগ্রেস সভাপতি হচ্ছেন, সেই সময়ে রাহুল গান্ধির একটি মন্তব্য হইহই ফেলে দিয়েছিল। যদিও তারপর প্রায় নিশ্চিত বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে দলের সভাপতি হতে চলেছেন, তখন সেই এক ব্যক্তি এক পদ কার্যকর হয়ে গেল কংগ্রেসে।
মল্লিকার্জুন খাড়্গে রাজ্যসভায় কংগ্রেস দলনেতার পদে ছিলেন। সেই দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে গতকাল রাতে তাঁর সঙ্গে সনিয়ার কথা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
গান্ধি পরিবারের পুরো সমর্থন রয়েছে ৮০ বছর বয়সি খাড়্গের সঙ্গে। তাছাড়া ভুপেন্দ্র সিং হুডার মতো বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারাও খাড়্গের সঙ্গে। সমস্ত সমীকরণ দেখে এটুকু স্পষ্ট শশী তারুরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও খাড়্গেই পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি। মনোনয়ন পেশ করার পর রাজ্যসভায় কংগ্রেস দলনেতার পদ ছেড়ে দিলেন তিনি। এখন দেখার, সেই দায়িত্ব কাকে দেয় কংগ্রেস।
এ ব্যাপারে দু’জনের নাম ভাসছে। এক, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। এবং দুই, মধ্যপ্রদেশের দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। মাঠে ময়দানের রাজনীতিতে চিদম্বরমের থেকে দিগ্বিজয় অনেকটা এগিয়ে বলে মত রাজনৈতিক মহলের অনেকের। তাছাড়া দিগ্বিজয় দীর্ঘদিনের সিডব্লিউসি সদস্য। তবে বাগ্মি, পাণ্ডিত্য, যুক্তি দিয়ে উচ্চকক্ষে ভাষণ দেওয়ার বিষয়ে চিদম্বরম অনেকেবেশি কার্যকরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের অনেকের।
আবার রাজ্যসভায় এক ব্যক্তি এক পদ কার্যকর হলেও লোকসভায় তা নেই। কারণ লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। আবার তিনি বাংলার কংগ্রেস সভাপতি।
আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নিররাচন। ফল ঘোষণা ১৯ অক্টোবর। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন না প্রবীণ এই নেতা