দিল্লি, ২৩ নভেম্বর – আমেরিকার মাটিতেই খালিস্তানি নেতাকে খুনের ছক – সদ্য প্রকাশ্যে আসা এক মার্কিন রিপোর্ট ঘিরে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের তরজা তুঙ্গে উঠল । সেই রিপোর্টের বিরুদ্ধে কড়া জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লি। নাম না করেও জঙ্গি গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে খুনের ছকের নেপথ্যে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা দিল্লির অঙ্গুলিহেলনে- এমনটাই সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হোয়াইট হাউসের তরফে নয়াদিল্লির কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমেরিকার মাটিতে এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যদিও রিপোর্টে পান্নুনের নাম উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু এই ‘ষড়যন্ত্র’ নিয়ে নয়াদিল্লির কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা।
ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, “রিপোর্ট পেয়ে আমরা হতবাক, উদ্বিগ্ন। এধরনের কাজ আমাদের নীতিবিরুদ্ধ।” তবে সরকার এনিয়ে তদন্ত করবে বলেও জানানো হয়েছে।প্রসঙ্গত, অজ্ঞাত কারণে বিদেশ বিভুঁইয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন ‘দিল্লির দুশমন’রা। ২০২১ সাল থেকে এভাবেই পাকিস্তানের বুকে গোপন মিশন শুরু হয়েছে। ওই বছরই লাহোরে লস্কর-ই-তইবার প্রধান তথা মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদকে খুন করার চেষ্টা হয়। সেবার কোনও মতে প্রাণে বেঁচে যায় সইদ। তার পর থেকেই, অজ্ঞাত মোটরসাইকেল আরোহীদের হাতে খুন হয়েছে বেশ কয়েকজন জেহাদি। সাম্প্রতিকতম ঘটনা ১৩ নভেম্বরের। করাচিতে ঘাতকদের হাতে প্রাণ দেয় মৌলানা রহিমউল্লা তারিক। জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ ছিল সে। এর আগে, ৯ নভেম্বর খুন হয় লস্কর জঙ্গি আকরাম খাব ওরফে আকরাম গাজী। থাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে তাকে গুলি করে খুন করা হয়। বলে রাখা ভালো, বিগত দিনে কানাডাতেও একের পর এক খলিস্তানি নেতা খুন হয়েছে। যাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হরদীপ সিং নিজ্জর। খুনের ঘটনায় ভারতের দিকে আঙুল তুলেছে কানাডার জাস্টিন ট্রুডো সরকার। এর পরই আমেরিকার মাটিতে ‘ভারত বিরোধী’ খলিস্তানপন্থী পান্নুনকে খুনের চেষ্টার বিষয়টি সামনে এল।