কলকাতা , ২২ ফেব্রুয়ারি — কেরালায় মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে, আর বাংলায় কমেছে।করোনাই যদি বাংলায় পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ হয়ে থাকে, তবে কেরালায় কোমল না কেন? শুধু কেরালা নয়, ঝাড়খণ্ডের পরীক্ষার্থী বৃদ্ধির সংখ্যাও পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দফতরের করোনা যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী এ বার বঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় প্রায় চার লক্ষ কম। মাধ্যমিকে বসার জন্য যত জন নাম রেজিস্ট্রেশন বা নথিভুক্ত করিয়েছিল, ফর্ম পূরণের সময় সেই সংখ্যাও কমেছে দু’লক্ষের মতো। কর্তাদের যুক্তি, করোনায় অনেকে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার ফলেই এ ভাবে সংখ্যা কমেছে।
কেরালায় গত বার কমবেশি ৪,২৬,০০০ পড়ুয়া দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা দিয়েছিল। এ বার ৩০ হাজারের মতো পরীক্ষার্থী বেড়েছে।
ঝাড়খণ্ডে গত বছর পাঁচ লক্ষের কিছু বেশি পড়ুয়া তাঁদের দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসেছিল। এ বার সেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০ হাজারের মতো বেড়েছে।
বিহারে এবার পরীক্ষা দিচ্ছে ১৫ লক্ষের কিছু বেশি পড়ুয়া। গত বারের পরীক্ষার্থীর তুলনায় কিছু বেশি।
করোনা ছাড়াও অন্য যুক্তি আছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের। পর্ষদ কর্তাদের মোতে, এ বার দশম শ্রেণির টেস্টে কড়াকড়িতে অনেকে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। সেটাও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে যুক্তি দেখিয়েছেন রামানুজ। স্কুলছুটের তত্ত্ব মানতে রাজি নন তিনি। যদিও শিক্ষক শিবিরের একটি বড় অংশের বিশ্বাস, যথাযথ নজরদারির অভাবে স্কুলছুট হয়ে গিয়েছে অনেক ছেলেমেয়ে। তাই মাধ্যমিকে এ বার পরীক্ষার্থী কম।