তিরুবন্তপুরম, ১১ নভেম্বর– বাংলাকে বিজেপি সরকার বঞ্চিত করছে ও অভিযোগ তৃণমূল সরকারের বহু দিনের৷ এমনকী বাংলার প্রাপ্য আদায়ে ইতিমধ্যেই দিল্লি অভিযানে নামে বাংলার তৃণমূল সরকার৷ নভেম্বরের শুরুতেই বাংলার প্রাপ্য মেটানোর দাবিতে দিল্লি অভিযান করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার পর রাজ্যে এসে রাজভবনের সামনে ধরনাতেও বসেছিলেন অভিষেক৷ তবে এই অভিযান-ধরনা নিয়ে বাংলার বিরোধী দলগুলিই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি৷ কিন্তু সেই সে সময় অভিষেকের আন্দোলন নিয়ে টিকা-টিপ্পনিও বিস্তর শোনা গিয়েছিল৷ অথচ, সেই সিপিএমেরই কেরল নেতৃত্ব এবার প্রাপ্য আদায়ের জন্য অভিষেকের পথে হেঁটে দিল্লি অভিযানে নামতে চলেছে৷
আসলে বাংলার মতো কেরলেরও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রায় ৫৮০০ কোটি টাকা বকেয়া৷ কেরল সরকারের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এই প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করেও সুরাহা হয়নি৷ শেষে বাধ্য হয়ে দিল্লি অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সিপিএম ৷
সূত্রের খবর, জানুয়ারির গোড়ার দিকে সব সাংসদ-বিধায়কদের একত্রে নিয়ে দিল্লি অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন৷ তাতে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে রাজ্যের কংগ্রেস সাংসদ ও বিধায়কদেরও৷ যদিও সিপিএমের অভিযোগ রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বও এ নিয়ে নীরব৷ সিপিএমের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজ্যের সাংসদ-বিধায়করা দিল্লিতে গিয়ে ধরনায় বসবেন৷ তবে, অভিযানের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷
উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য মেটানোর দাবি নিয়ে এ মাসের গোড়ায় অভিষেক যে দিল্লি অভিযান করেছিলেন, তাতে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র৷ একপ্রকার বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, কেন্দ্র সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে৷ রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, অভিষেকের ওই কর্মসূচিই অনুপ্রেরণা বিজয়নের৷