দিল্লি, ৯ আগস্ট– প্রথমে গড়িমসি করলেও পরে কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। আর তাই আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেন নি রাহুল তথা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। চিঠি লিখে সেই কৃতজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন কেজরিওয়াল । কেজরিওয়াল লিখেছেন, রাজনীতির এক বিশেষ সন্ধিক্ষণে আপনাদের ভূমিকা বহুদিন মনে থাকবে।
উল্লেখ্য, দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিলে সমর্থন দেওয়া নিয়ে কংগ্রেস গোড়ায় বেঁকে বসেছিল। যদিও কংগ্রেসের অবস্থান ঘিরে জোট বিরোধী ঐক্যের সাংবাদিক বৈঠকে গরহাজির থেকে কেজরিওয়াল কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে ছাড়েননি পাটনার বৈঠকে সময়।
কংগ্রেসের দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং গুজরাতের নেতারা আপের পাশে দাঁড়াতে অস্বীকার করেন। তারা আপকে সমর্থনে প্রবল আপত্তি তোলেন। যদিও রাহুল, খাড়গেরা গোড়া থেকে নরম অবস্থান নিয়ে চলছিলেন জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে। তবে কংগ্রেসের এই সমর্থনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বাংলার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ফোন করে খাড়গেকে অনুরোধ করেন আপের দাবি মেনে নিতে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দুই শীর্ষ কংগ্রেস নেতাকে বলেছেন, তাঁদের দল যেভাবে সংসদের ভিতরে ও বাইরে দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিলের বিরোধিতা করেছে তাতে তিনি কৃতজ্ঞ।
তবে কেজরিওয়াল-কংগ্রেসের এই সখ্যতা নিয়ে কটূক্তি করতে দেখা গেছে বিজেপি নেতাদের। কারণ আপের ২০১২ সালে জন্ম এবং দিল্লির ক্ষমতা দখল কিন্তু কংগ্রেসের বিরোধিতা করে। গত বছর পাঞ্জাবেও ক্ষমতা দখল করেছে ওই দল। তারা দেশের একমাত্র আঞ্চলিক দল যারা একটির বেশি রাজ্যে সরকার চালাচ্ছে। দিল্লির মতো পাঞ্জাবেও কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে আপ। এমনকি, কিছুদিন আগে পর্যন্ত মোদির সঙ্গে একই বন্ধনীতে রেখে রাহুলকে আক্রমণ শানাতেন কেজরিওয়াল। সেই কেজরিওয়াল কিনা কংগ্রেসকে কৃতজ্ঞতার চিঠি লিখলেন। তবে এই চিঠিকে নিছক সৌজন্য হিসাবে দেখছে নারাজ রাজনৈতিক মহল। এর পেছনে আগামী রাজনীতি কাজ করছে বলেই তাদের ধারণা।