দিল্লি, ৩১ অক্টোবর– দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডি ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে আপ নেতা তথা প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ও সঞ্জয় সিংকে৷ এবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে ডেকেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট৷ ডাকা হয়েছে এই মামলার কিছু বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য৷ আর এই ডাকেই যেন সিঁদুরে মেঘ দেখছে আপ৷ কিন্ত্ত শুধুই কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, নাকি এটা আম আদমি পার্টির প্রধানকে গ্রেফতার করার ষড়যন্ত্র?
আপ নেতা তথা, দিল্লির মন্ত্রী অতীশির আশঙ্কা, ২ নভেম্বর এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট কেজরীবালকে আবগারি দুর্নীতি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে তাঁকে গ্রেফতার করবে৷ মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে অতীশি বলেছেন, “আমাদের কাছে তথ্য আছে, ২ নভেম্বর অরবিন্দ কেজরীবাল যখন ইডি-র সদর দফতরে হাজিরা দেবেন, তখন ইডি তাঁকে গ্রেফতার করবে এবং জেলে পাঠাবে৷” এই মামলায় একের পর এক আপ নেতাকে গ্রেফতার করেছে ইডি এবং সিবিআই৷ আপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে বছরের শুরুতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ প্রাথমিক চার্জশিটে তাঁকেই এই দুর্নীতির মাথা বলে উল্লেখ করেছে সিবিআই৷ চলতি মাসের শুরুতে ইডি গ্রেফতার করেছিল আপের আরও এক বড় নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং-কে৷ এই মামলায় না হলেও, অন্য একটি জমি সংক্রান্ত তহবিল তছরুপের মামলায় কারাবন্দি দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনও৷ একের পর এক আপ নেতার জেল গমন প্রসঙ্গে অতীশি দাবি করেছেন, এই ভাবেই আম আদমি পার্টিকে শেষ করতে চায় নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রের বিজেপির সরকার৷ তিনি বলেন, “এই কারণেই একের পর এক মিথ্যা মামলায় আপ নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং কারাগারে রাখা হচ্ছে৷ যখন ২ নভেম্বর অরবিন্দ কেজরীবালকে গ্রেফতার করা হবে, তখন তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা বা প্রমাণ রয়েছে বলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না৷ তাঁকে গ্রেফতার করা হবে কারণ কেজরীবালকে ভয় পান প্রধানমন্ত্রী মোদি৷