৫ হাজার কোটির বেশি টাকা আটকে রেখেছে, কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ কেজরিরও

দিল্লি, ১৮ ডিসেম্বর– বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘদিন যাবৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আসছেন৷ এই নিয়ে দিল্লিতে ধরনা-মিছিল পর্যন্ত করা হয়েছে বাংলার তৃণমূল সরকারের তরফে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সময়ে একশো দিনের কাজ, স্বাস্থ্য প্রকল্প-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলার প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র যে আটকে রেখেছে তা দাবি করে আসছেন৷ এবার সেই পথেই হাঁটতে দেখা গেল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে৷ তবে শুধু প্রাপ্য আটকে রাখাই নয় কেজরিওয়ালের আরও দাবি, পাঞ্জাবের আম আদমি পার্টির সরকার যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করেছে, তাতে বাগড়া দিচ্ছে কেন্দ্র৷ রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না৷ একই সঙ্গে কংগ্রেস ও শিরোমণি অকালি দল রাজ্যের উন্নয়ন চায় না বলেও কেজরিওয়াল দাবি করেছেন৷
উল্লেখ্য, বিকাশ ক্রান্তি র্যালিতে যোগ দিয়ে এমন সমস্ত অভিযোগ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, “পাঞ্জাবে আপের সাফল্যে অনেক দলই হতাশ৷ তারা জোট বেঁধে কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছে, যাতে রাজ্যের বকেয়া আটকে দেওয়া হয়৷ তারা কেন্দ্রকে বলেছে, আপ-কে কাজ করতে দেবেন না৷ ওরা এত কাজ করলে আমরা (প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো) শেষ হয়ে যাব৷ ওরা নোংরামি করছে৷ এমনকী, স্বাস্থ্যের জন্য পাঞ্জাবের প্রাপ্য আটকে দেওয়া হয়েছে৷”
সদ্য মমতা বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জনকল্যাণ প্রকল্পে কেন্দ্রকে অবিলম্বে বকেয়া দিতে হবে৷ না হলে গদি ছাড়তে হবে বিজেপিকে৷ মনরেগা, স্বাস্থ্য, আবাসন, গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকা আটকে রয়েছে৷ এমনকী, জিএসটি বাবদ আয় থেকে রাজ্যের প্রাপ্য অংশও দেয়নি৷ ২০ ডিসেম্বর প্রাপ্য আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন৷ মমতার পর ইন্ডিয়া জোটের দ্বিতীয় নেতা হিসাবে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হলেন কেজরিওয়াল৷ প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবের গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পে ৫,৫০০ কোটি টাকা আটকে আছে বলেও কেজরি দাবি করেন৷ ২০১৪ সাল থেকে দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকার৷ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি ও পাঞ্জাবে তারাই বিজেপি বিরোধী সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল৷
অন্যদিকে, দিল্লিতে আবগারি দূর্নীতি নিয়ে একাধিক আপ মন্ত্রী জেলে৷ গুজন শুরু হয়েছে এপরপর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের সময়৷ কারণ আগেই ইডি-সিবিআই কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে রেখেছে৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি রবিবার কেজরিওয়ালকে কটাক্ষ করে বলেছেন যে, “দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কতদিন জেলের বাইরে থাকতে পারবেন তার কোনও গ্যারান্টি নেই৷ ইতিমধ্যেই তাঁর মন্ত্রিসভার অর্ধেক জেলে৷ আপনাদের (বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি ও দিল্লির বিজেপি জেলা সভাপতি ) এই সরকারের থেকে কোনও প্রত্যাশা নেই বলেই জানি৷ কারণ, তিনি নিজে কতদিন জেলের বাইরে থাকবেন, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই৷”